ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা দারুণ রঙিন করল দক্ষিণ আফ্রিকা। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিল সফরকারীরা। বল হাতে আঁটসাঁট নিয়ন্ত্রণ আর ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তায় স্বাগতিকদের কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। সিকান্দার রাজার একক লড়াই ছাড়া ম্যাচজুড়ে জিম্বাবুয়ে ছিল পুরোপুরি চাপে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল । ৩৯ রানেই ফিরে যান দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। ওয়েসলি মাধেভেরে এক রান করে হিট আউট এবং ক্লাইভ মাদান্দে ৮ রান করে বোল্ড হন। ওপেনার ব্রায়ান বেনেট কিছুটা ঝলমলে ইনিংস খেলেন।
চারতি চার মেরে ৩০ রান করলেও তাকে থামিয়ে দেন জর্জ লিন্ডে, ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৫৫ রানেই তিন উইকেট! তারপর দলকে টানার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ রাজা ও রায়ান বার্ল।
৩৮ বলে গড়া এই জুটিতে আসে ৬৬ রান। তবে বার্ল ২৯ রানে আউট হতেই আবার বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখে রাজা করেন দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি। দুটি ছক্কা ও তিনটি চারে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।
রায়ান বার্ল ২০ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান। তারপর আর সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাকিদের ব্যর্থতায় দল যেতে পারে মাত্র ১৪১ পর্যন্ত। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে সাউথ আফ্রিকাও চাপে পড়ে। অভিষিক্ত ওপেনার লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস ফিরেন গোল্ডেন ডাকেই। তাকে কট এন্ড বোল্ড করে ফেরান রিচার্ড এনগারাভা। পরের ওভারে রিজা হেনড্রিকসকেও বোল্ড করেন এনগারাভা। রাসি ফন ডার ডাসেনকে বিদায় করেন ট্রেভর গুয়ান্ডু।
মাত্র ৩৮ রানেই পড়ে যায় প্রোটিয়াদের ৩ উইকেট। এরপর ম্যাচের রঙ বদলান দুই তরুণ রুবিন হারমান ও ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। এই দুজন মিলে গড়েন ৩৭ বলে ৭২ রানের জুটি। হারমান ৪৫ রান করে আউট হলেও ব্রেভিস ছিলেন ভয়ঙ্কর।
৫ ছক্কা ও ১ চারে মাত্র ১৭ বলে করেন ৪১ রান করে ম্যাচ জয়ের নায়ক তিনিই। শেষদিকে ১৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন করবিন বশ। তিন বলে তিন রানে অপরাজিত থাকেন লিন্ডে। ২৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সাউথ আফ্রিকা।
জিম্বাবুয়ের হয়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখান এনগারাভা। তিন উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যান সিকান্দার রাজার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড (৮১)। আগামী ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
ইউটি/টিএ