প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নয়নের প্রস্তাব

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে এ বেতন গ্রেড কার্যকর হবে। রিটকারী ৪৫ জনসহ সারাদেশের ৩০ হাজারের বেশি প্রধান শিক্ষক এ সুবিধা পাবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সই করা এক চিঠিতে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করে দশম গ্রেডে উন্নয়নের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে পর্যালোচনায় তথ্য জানানো হয়।

এতে সরকারের বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ৩৪১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪০ টাকা। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। কর্মরত আছেন ৩২ হাজার ৩৫২ জন। উচ্চ আদালতের আদেশে গত ১৯ জুন ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১১ থেকে দশমে উন্নীত করে অর্থ মন্ত্রণালয় অফিস আদেশ জারি করে।

গত ১৩ জুন প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের ১১ ও অপ্রশিক্ষিতদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ৪৫ জন শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব গত ৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কবে এটি বাস্তবায়ন হবে, তা চূড়ান্ত করে বলা সম্ভব নয়। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে রিটকারী ৪৫ জন শিক্ষক ছাড়াও সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড উন্নীত করা যাবে।

এফপি/ টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক Jul 15, 2025
img
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক Jul 15, 2025
img
জেলা কোচদের জন্য বিশেষ কোর্স পরিচালনা বিসিবির Jul 15, 2025
img
১৬ জুলাই মার্চ টু গোপালগঞ্জ, আমরা আসছি: সারজিস Jul 15, 2025
img
কোর্ট যেভাবে চলছে, এইভাবে কোথাও চলে না : ফজলুর রহমান Jul 15, 2025
img
জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 15, 2025
img
চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মা হতে পারেননি, জানালেন সম্ভাবনা শেঠ Jul 15, 2025
img
ডিবি হারুন আমাকে তিনবার কল করেছিলেন আন-অফিশিয়ালি : ডা. সাবরিনা Jul 15, 2025
img
প্রথমবার খলনায়িকার চরিত্রে অপরাজিতা! Jul 15, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মহিন Jul 15, 2025
img
উইম্বলডনের কোর্টে থালাপতির গর্জন Jul 15, 2025
img
নিউইয়র্ক-নিউজার্সিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা Jul 15, 2025
img
ধানমন্ডির সাবেক ওসি ইকরামের ৫ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ Jul 15, 2025
img
রাজবাড়ী আমার শ্বশুরবাড়ি, মানে আমারও বাড়ি : তাসনিম জারা Jul 15, 2025
img
ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে অমাল মালিক, দিলেন ব্যাখ্যা Jul 15, 2025
img
ভারতে রয়েছেন ডিপজল! Jul 15, 2025
img
আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রয়োজনীতার প্রশ্ন উঠেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ Jul 15, 2025
img
খেলার হাফ টাইমে বদলে গেল ম্যাচ ভেন্যু Jul 15, 2025
img
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত রোববার : আলী রীয়াজ Jul 15, 2025
img
ভালুকায় আলোচিত ঘটনার মূলহোতা গ্রেফতার Jul 15, 2025