বলিউডে ‘জিরো ফিগার’ ট্রেন্ডের জননী বলা হয় কারিনা কাপুর খানকে। গর্ভাবস্থায় ফটোশুট হোক বা সন্তান জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই শুটিং ফ্লোরে ফেরা- সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছেন তিনি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রুপালি পর্দায় কাজ করলেও বয়স যেন তাকে ছুঁতে পারেনি। তবে এত বছর ধরে ফিটনেস ধরে রাখার পেছনে কারিনার মূল রহস্য কী? সম্প্রতি সেই গোপন তথ্য প্রকাশ করেছেন তার ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিওয়েকার।
পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিওয়েকার ভাষ্য মতে, খাবারের প্রতি কারিনার ভালোবাসা প্রবল হলেও নিজের ডায়েট নিয়ে তিনি চূড়ান্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। সপ্তাহে পাঁচ দিন একেবারে নির্দিষ্ট মেন্যুই অনুসরণ করেন তিনি। ‘তাশান’ সিনেমার সময় থেকে রাতের খাবারে কোনো পরিবর্তন আনেননি। প্রায় ১৮ বছর ধরে প্রতিদিন রাতে তিনি খিচুড়ি আর ঘি খেয়ে আসছেন।
ঋজুতা বলেন, কারিনা গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে একেবারে একই ধরনের খাবারের রুটিন মেনে চলছেন। খিচুড়ি থেকে ঘি, আর রাতের খাবার আগেই খেয়ে নেওয়া। দিনের শুরুতে এক মুঠো বাদাম, কিশমিশ বা শুকনো ডুমুর খান। এরপর সকালের নাশতায় খান পোহা বা পরোটা।
দুপুরের খাবারে ডাল-ভাত অথবা চিজ টোস্ট পছন্দ তার। বিকেলের নাশতায় থাকে আম বা আমের মিল্কশেক। আর রাতের খাবার? খিচুড়ি বা পোলাও। সব সময়ই ঘি মিশিয়ে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সপ্তাহে পাঁচ দিন পর্যন্ত খিচুড়ি খান কারিনা।
বিশেষ করে বাড়িতে থাকলে। শুটিং সেটে থাকলে ডাল-ভাত খেতে পছন্দ করেন, আর বাড়িতে থাকলে রুটি আর সবজি খেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তবে কারিনা একেবারে রেস্তোরাঁর খাবার এড়িয়ে চলেন না। চাইনিজ খাবার তার পছন্দের তালিকায় আছে, আর মিষ্টি বা ঘি খাওয়াও তিনি বন্ধ করেননি। বরং ঋজুতার মতে, মিষ্টি ও ঘি পরিমিত পরিমাণে শরীরকে শুদ্ধ রাখে।
তাই তৈমুরের জন্মের পর কারিনাকে ঘি খেতে বলেছেন ঋজুতা। কারিনার পছন্দের তালিকায় চকোলেট পেস্ট্রিও আছে। নায়িকা বিশ্বাস করেন, সব কিছুই খাওয়া যায় যদি তা সঠিক পরিমাণে হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর অনুশাসিত রুটিনই তাকে বছরের পর বছর ধরে ফিট এবং সতেজ রাখছে, এটাই কারিনার ফিটনেস-মন্ত্র।
এফপি/ টিকে