কন্যাসন্তান পেয়ে জীবন বদলে গেল: সিদ্ধার্থ

দুই থেকে তিন—দাম্পত্য জীবনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে নতুন পরিচয়ে ধরা দিলেন বলিউড তারকা জুটি সিদ্ধার্থ মলহোত্রা ও কিয়ারা আডবানী। তাদের ঘরে এসেছে এক ফুটফুটে কন্যাসন্তান। ১৫ জুলাই সকালে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কিয়ারা। যদিও প্রথম দিন তারা কিছুই জানাননি। বুধবার সকালে সিদ্ধার্থ নিজেই মেয়ের আগমনের খবর জানান অনুরাগীদের। বলেন, “আমাদের জীবন আজ চিরতরে বদলে গেল।” এই ছোট্ট অতিথি এখন তাঁদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। ১২ জুলাই থেকে নিয়মিত হাসপাতালে যাতায়াত করছিলেন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয় মঙ্গলবার সকালে, যখন হাসপাতালে ভিড় জমায় পরিবারের সদস্যরা। সিদ্ধার্থের মা, কিয়ারার বাবা—সবাই ছিলেন হাসপাতালে। তখন থেকেই নিশ্চিত হয়ে যায়—সুখবর আসছে।

মাতৃত্বের এই পথচলা কিয়ারার জন্য ছিল একেবারে আলাদা অনুভূতির। এর আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তাঁর যমজ সন্তানের খুব ইচ্ছে। যদিও এবার এল একমাত্র কন্যা। তারপরও তাঁর আনন্দের কমতি নেই। মা-বাবা হওয়ার পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, “আমাদের হৃদয় আজ খুশিতে পরিপূর্ণ। আমাদের জীবনে কন্যাসন্তান এসেছে—এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

এই খবরে সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। বলিউড তারকারা, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছেন নবদম্পতিকে।

গত মে মাসে শেষবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল কিয়ারা আডবানীকে। মেটা গালার লাল গালিচায় আত্মবিশ্বাসীভাবে হেঁটেছিলেন তিনি, তখনই তাঁর স্ফীতোদর নজরে আসে। এরপর আর ক্যামেরার সামনে আসেননি। বরং হাসপাতালে যাতায়াতের সময়ও সবকিছু ঢেকে চলেছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা দেখলে বিরক্ত হয়েছেন সিদ্ধার্থ নিজেও। তবে এবার আর লুকানোর কিছু নেই। নতুন অতিথি এসেছে তাদের সংসারে—এবার শুধু অপেক্ষা, কবে প্রকাশ্যে আসে সেই খুদে তারকার মুখ।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লয়েড-ভিভ-লারার ‘ক্রাইসিস সামিট’ Jul 17, 2025
img
শহীদ পরিবারের জন্য এককালীন অনুদান হচ্ছে, ভাতাও হবে : ফারুক-ই-আজম Jul 17, 2025
img
কোকে আখের চিনি ব্যবহারের পরামর্শ ট্রাম্পের Jul 17, 2025
img
এ ধরনের গুজব তো নতুন না : অপু বিশ্বাস Jul 17, 2025
img
ইসির ওয়েবসাইটে ফের ফিরল আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক Jul 17, 2025
img
ফরিদপুরে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার Jul 17, 2025
img
৯০ মিনিট খেলেও ম্লান মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা Jul 17, 2025
img
রাজবাড়ীতে এনসিপির পদযাত্রা, তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী Jul 17, 2025
img
খুলনা ত্যাগ করে ফরিদপুরের উদ্দেশে এনসিপি নেতারা Jul 17, 2025
img
তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু Jul 17, 2025
img
লন্ডনের দোকানে অপমান, ১০টা টাই কিনে জবাব দিলেন অমিতাভ বচ্চন Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনা গোয়েন্দা ব্যর্থতা : জাহেদ উর রহমান Jul 17, 2025
img
গাজা নিয়ে ‘সুখবর’ আছে : ট্রাম্প Jul 17, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি Jul 17, 2025
img
এই সংঘাতের জন্য এনসিপি প্রস্তুত ছিল না : মোস্তফা ফিরোজ Jul 17, 2025
img
বগুড়ায় ঘরে ঢুকে ২ নারীকে হত্যা, আশঙ্কাজনক অবস্থা আরেকজনের Jul 17, 2025
img
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ঢাকায় ৪৪ চাঁদাবাজ গ্রেফতার Jul 17, 2025
img
বিবেক বিবর্জিত কথা বলে তারেক রহমানের ইমেজকে নষ্ট করা যাবে না : আবুল খায়ের ভূঁইয়া Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জে চলছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ, পরিস্থিতি থমথমে Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের সব প্রশাসনকে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হবে : জামায়াত নেতা হাফিজ Jul 17, 2025