ঢাকা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন রমজান আলী (৩৫), নিস্তার আহমেদ রউফ (৫৭), আমজাদ হোসেন (৩৫), মো. রাশেদ (৩৪) ও নাহিদ হোসেন আহাদ (২৪)।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ দক্ষিণ) মো. তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজদের ধরার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে চাঁদা তোলার অর্থসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন পরিবহন স্ট্যান্ড ও ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করত।’
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন, তারা নির্ভয়ে কাজ করে যাবেন। কাউকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে, দস্যুতা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ নেই। আমরা এমন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে কেউ নিষ্পেষিত হবে না। চাঁদাবাজদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। চাঁদাবাজের পরিচয় সে চাঁদাবাজ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কদমতলী একটি জনবহুল এলাকা। ইতিপূর্বে কদমতলী এলাকায় অবৈধ দোকানপাট বসত। সেখানে চাঁদাবাজি হতো। এ ছাড়া যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হতো। আমরা অভিযান চালিয়ে ওইসব দোকানপাট উচ্ছেদ করেছি।’
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘চাঁদাবাজির সঙ্গে যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকে, তাহলে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমানুল হক ডাবুল প্রমুখ।
ইউটি/টিএ