মার্কিন হামলায় ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে!

ইসরাইলের হামলার মধ্যে গত মাসে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এখন নতুন একটি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের তিনটি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনায় ততটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বর্তমান এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।

দুজন বর্তমান কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত সফল হয়েছে এবং সেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে প্রায় দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাকি ইস্পাহান ও নাতাঞ্জ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে, সেগুলো ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং যদি ইরান চায় সেখানে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পুনরায় কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে।

রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এনবিসির প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি। এছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আন্না কেলি এনবিসি নিউজকে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেমনটি প্রেসিডেন্ট বলেছেন এবং বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত করেছেন, অপারেশন মিডনাইট হ্যামার সম্পূর্ণভাবে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতাকে ধ্বংস করেছে।’

যদিও পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শোন পার্নেল বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন এবং আমেরিকার মানুষ বুঝতে পেরেছেন যে, ফোরদো, ইস্পাহান এবং নাতাঞ্জে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

জুন মাসে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন জানিয়েছিল, হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক প্রোগ্রামকে হয়তো মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ওই মূল্যায়ন আস্থা কম এবং নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী-ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জেনে নিন ওষুধ ছাড়াই মাইগ্রেনের ব্যথা হ্রাসে সহায়ক খাবারসমূহ সম্পর্কে Sep 15, 2025
img
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দেশি সবজি, কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি Sep 15, 2025
img
নড়াইল-যশোর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারাল ৩ Sep 15, 2025
img
বরগুনায় ইউপি সদস্যের মুরগির খামার থেকে ৬২ বস্তা সার জব্দ Sep 15, 2025
img
মালদ্বীপ প্রবাসীদের জন্য হাইকমিশনের কনস্যুলার ক্যাম্প আয়োজন Sep 15, 2025
img
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে সিটির দাপুটে জয় Sep 15, 2025
img
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ Sep 15, 2025
img
ভারী বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা Sep 15, 2025
img
পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন উন্মুক্ত হচ্ছে আজ Sep 15, 2025
img
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ভাঙচুর : ছাত্রদল নেতাসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Sep 15, 2025
img
ধানের শীষই দেশের মানুষের মুক্তির পথ : আফরোজা খানম Sep 15, 2025
"বাংলাদেশকে মেনে নিয়ে আমরা রাজনীতি করছি" Sep 15, 2025
"দলের ঊর্ধ্বে উঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আমরা আশাবাদী" Sep 15, 2025
যেভাবে শুরু হয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা, জানালেন আলী রিয়াজ Sep 15, 2025
একদিনে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি, চলবে আরও ৫ দিন Sep 15, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 15, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 15, 2025
"জাতীয় সনদ নয়, নাম হতে হবে জুলাই সনদ" Sep 15, 2025
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে বললেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
আমরা জোর দিয়ে বলেছি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে Sep 15, 2025