নির্বাচনে হেরে গিয়েও ক্ষমতা ছাড়তে চান না জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের ক্ষমতাসীন জোট দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন, তার এখনই সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

রোববার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকির ইস্যুর কারণে এই নির্বাচন হয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও এর অংশীদার কোমেইতোর জন্য হতাশাজনক।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘এই কঠিন ফল’ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন, তবে এখন তার দৃষ্টি হলো বাণিজ্য আলোচনা।

এর আগে গত বছর দেশটির শক্তিশালী নিন্মকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর এবার উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো তার জোট। এটি জোট সরকারের প্রভাব কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির ২৪৮ সদস্যের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ক্ষমতাসীন জোটের ৫০টি আসন দরকার ছিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা ৪৭টি আসন পেয়েছে। আরও একটি আসনের ফল ঘোষণা বাকি আছে।

উচ্চকক্ষের অর্ধেকের মতো আসনে রোববার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর সদস্যরা ছয় বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

কান্দা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জাপানিজ স্টাডিজের শিক্ষক জেফরি হল বিবিসি নিউজকে বলেছেন, এলডিপির রক্ষণশীল সমর্থন ভিত্তিকে ভাগ করেছে কয়েকটি ডানপন্থী দল। প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে যথেষ্ট রক্ষণশীল বলে মনে করেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সমর্থকরা। তারা মনে করেন, তার শুধু জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গীই নেই তা নয়, বরং চীনের বিরুদ্ধেও তার শক্ত দৃষ্টিভঙ্গী নেই, যা শিনজো আবের ছিল।

এবারের নির্বাচনের ফলকে ভোটারদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনার বিষয়টি এতে ভূমিকা রেখেছে।

বহু মানুষ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট, বিশেষ করে চালের দাম নিয়ে। এর সাথে রয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এলডিপিকে ঘিরে হওয়া নানা কেলেঙ্কারি।

এলডিপির শেষ তিন প্রধানমন্ত্রীকে উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিল দুই মাসের মধ্যে এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন এবারেও একই বিষয় হতে পারে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।  

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘প্রতিটা খেলোয়াড়েরই মন খারাপ ছিল’, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মিরাজ Jul 22, 2025
img
মাতৃত্বে পা দিয়েই পৃথিবীর ভয়ংকর রূপ দেখলেন রিচা Jul 22, 2025
img
পাকিস্তানে বর্ষাকালীন দুর্যোগ :২২ দিনে ২২৩ প্রাণহানি Jul 22, 2025
img
বেনাপোলে যাত্রীসেবায় মানোন্নয়ন, রাজস্ব আদায়ে জোর দিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান Jul 22, 2025
img
আবারও এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা, অবতরণের পর আগুন Jul 22, 2025
img
বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালানো সেসব ফুরফুরে দিনে ফেরত যেতে চান সালমান Jul 22, 2025
img
লুটেরার মানসিকতা নিয়ে রাজনীতিতে আসবেন না : শফিকুর রহমান Jul 22, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গোলাম পরওয়ার Jul 22, 2025
img
আ. লীগের কিছু দুষ্ট চক্র চলমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে : তাহের Jul 22, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা Jul 22, 2025
img
গুজব ছড়িয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের স্তম্ভকে দুর্বল করবেন না: বিমানবাহিনী প্রধান Jul 22, 2025
img
রুপালি পর্দার বাইরে নতুন যাত্রায় তামান্না Jul 22, 2025
img
চীনে আকস্মিক বন্যায় ২ জনের মৃত্যু Jul 22, 2025
img
সুনামগঞ্জে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Jul 22, 2025
img
এক ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি : আখতার Jul 22, 2025
img
আবার বাড়ল সোনার দাম Jul 22, 2025
img
অ্যাকশন থেকে দেশপ্রেমের দৃঢ় সংকল্পে সালমান খান Jul 22, 2025
img
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সমবেদনা জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি Jul 22, 2025
যে দুটি আয়াত পড়লে জীবন বদলে যাবে Jul 22, 2025
জয়াকে দেখে ঠাট্টা, সমালোচনায় বিজেপি নেতা Jul 22, 2025