পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইউরোপের ৩ শক্তিধর দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান

পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার জেরে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির আলোচনা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশটির পরমাণু কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধিদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। তবে এবার ইউরোপের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান।

সোমবার (২১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী শুক্রবার (২৫ জুলাই) ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ইরান আলোচনায় বসবে।

এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আক্রমণ চালানোর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির মধ্যে প্রথমবারের মতো ফোনালাপ হয়।

এর আগে ইউরোপীয় দেশগুলো হুঁশিয়ার করে বলেছিল, আগস্টের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় কোন অগ্রগতি না হলে জাতিসংঘের পুরানো নিষেধাজ্ঞা আবার ফিরিয়ে আনবে তারা।

জবাবে রোববার আরাঘচি বলেন, ইউরোপ আলোচনায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে কোনো হুমকি কিংবা নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখানো থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের বৈঠক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছিল। যষ্ঠ দফা বৈঠকের দুইদিন আগে ইসরাইল আকস্মিকভাবে ইরানে হামলা চালায়।

উল্লেখ্য, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করার জন্য দেশটির সঙ্গে ২০১৫ সালে একটি চুক্তি করেছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পরে ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফের পদযাত্রা, কালো পতাকা নিয়ে শোক মিছিল করবে এনসিপি Jul 23, 2025
img
মেসি-ই কি সর্বকালের সেরা ফ্রি কিক টেকার? Jul 23, 2025
img
ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় কোনো মতভিন্নতা নেই : তাহের Jul 23, 2025
img
বোনের পর স্মৃতি হয়ে রইল ভাই নাফিও Jul 23, 2025
img
দেশে সংস্কারের খবর নাই অথচ একদল শুধু নির্বাচন চাইছে : মুফতি ফয়জুল করীম Jul 23, 2025
img
এক দশক পর মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে উচ্ছ্বসিত তামিম Jul 23, 2025
img
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে সবাই একমত : আসিফ নজরুল Jul 23, 2025
img
জাতি শিল্পীদের কাছে আরেকটু দায়িত্বশীলতা আশা করে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা Jul 23, 2025
img
ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের প্রতিটি সংকট মোকাবেলা করার আহ্বান তারেক রহমানের Jul 23, 2025
img
পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে ভারত Jul 23, 2025
img
৫ ম্যাচের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ যুবারা, পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ Jul 23, 2025
img
শোকের সময় শান্ত-সংহত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের Jul 23, 2025
img
পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিতে চাইলে প্রতিহত করা হবে : ইসলামি আন্দোলন Jul 23, 2025
img
সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সফল রাষ্ট্র বানানো সম্ভব নয় : হাসনাত কাইয়ূম Jul 23, 2025
img
দেশে ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা Jul 23, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকার আশ্বাস ৪ দলের Jul 22, 2025
img
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সিরিজ উৎসর্গ করল বাংলাদেশ Jul 22, 2025
img
হবিগঞ্জে সিএনজি-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারাল ১ জন Jul 22, 2025
দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব অবরুদ্ধের বিষয়ে যা বললো পুলিশ Jul 22, 2025
img
গায়ে দুধ ঢেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়লেন সাজ্জাদুল Jul 22, 2025