'এই রাস্তা দিয়ে মেয়েকে স্কুলে নিই',উত্তরার দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন বাঁধন

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি।

সোমবার দুপুর ১টার পর উত্তরায় বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শোকের মাতম। মুষড়ে পড়েছেন তারকারাও।

অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনের ওপর উত্তরার এই ঘটনা বেশ বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারণ দুর্ঘটনার সেই এলাকার পাশেই বসবাস তার। এমনকি মেয়েকে নিয়ে সেই রাস্তা ব্যবহার করেই যাতায়াত করেন তিনি।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, উত্তরার এই ঘটনা খুব ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছি। সেই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিন আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই। তার স্কুল ঐ প্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই।

সৌভাগ্যবশত, এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে এতটাই মানসিকভাবে আঘাত করেছে যে, আমি আসলে কী অনুভব করছি তা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশও করতে পারছি না।

বাঁধন লিখেছেন, আমি যখন দূর থেকে দেখেই এতটা ভেঙে পড়েছি, তখন যারা সরাসরি এই ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের এবং তাদের বাবা-মায়ের যন্ত্রণা কতটা গভীর, তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই।

অভিনেত্রীর কথায়, সেই নিষ্পাপ শিশুরা প্রতিদিনের মতোই সকালে স্কুলে গিয়েছিল, তারা জানতেও পারেনি যে সেটাই তাদের জীবনের শেষ দিন হবে। তারা নিরাপদে বাড়ি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় তাদের জীবন সেদিনই থেমে গেল। যারা বেঁচে গেছে, তাদের জীবনে যে যন্ত্রণা ও ট্রমা থেকে যাবে, তা ভাষায় প্রকাশের ঊর্ধ্বে।

সবশেষ অভিনেত্রী লিখেছেন, আল্লাহ নিহতদের শান্তি ও আরাম দান করুন, এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই অসহনীয় শোক সইবার শক্তি দান করুন। জীবন কতটা অনিশ্চিত, এই ঘটনা আমাকে সবচেয়ে বেদনাদায়কভাবে তা মনে করিয়ে দিয়েছে।

আল্লাহ তার রহমত বর্ষণ করুন এবং মৃত আত্মাদের জান্নাত নসীব করুন। আহত ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারকে আরোগ্য ও সান্ত্বনা দান করুন।

এফপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দিয়াবাড়ির দুর্ঘটনায় জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়েছে একাদশের শিক্ষার্থী রিয়া Jul 25, 2025
img
১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় Jul 25, 2025
img
ইসরায়েলের হৃদয়ে আগুন : যেখানেই চেয়েছে, সেখানেই আঘাত হেনেছে ইরান Jul 25, 2025
img
বিশ্বজুড়ে স্টারলিংক সেবা বিভ্রাট Jul 25, 2025
img
‘সইয়ারা’র অহানের সঙ্গে সুহানার পুরনো ভিডিও ঘিরে নতুন জল্পনা Jul 25, 2025
img
মিরপুরের মতো উইকেট কোথাও দেখিনি : সালমান আলী Jul 25, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস, কমবে গরম Jul 25, 2025
img
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স : ম্যাক্রোঁ Jul 25, 2025
img
‘ফেলুদা’র সঙ্গে তিলোত্তমার আবেগঘন সাক্ষাৎ Jul 25, 2025
"পঞ্চপান্ডবদের বিদায়ের পর নতুন দল নিয়ে খুশি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ" Jul 25, 2025
নিজ বাড়িতেই হয়রানি করা হচ্ছে তনুশ্রী দত্তকে Jul 25, 2025
আমার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছিল, কিন্তু কিছুই বলতে পারিনি: তটিনী Jul 25, 2025
img
কুয়েটের নতুন উপাচার্য বুয়েট অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী Jul 25, 2025
৮৭ বার সময় নিয়েও তদন্ত অসম্পূর্ণ! রিজার্ভ চু/রি মা/ম/লা/য় আবারও তারিখ পেছাল Jul 25, 2025
আদালতে যে মা/ম/লা/য় উঠানো হলো খায়রুলকে Jul 25, 2025
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Jul 25, 2025
img
দেশের ৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 25, 2025
img
শাহরুখের জায়গায় কেন নেওয়া হয় সঞ্জয় দত্তকে? Jul 25, 2025
img
ভোলায় পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Jul 25, 2025
img
ভাঙছে গোবিন্দ-সুনীতার ৩৭ বছরের সংসার Jul 25, 2025