কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সারের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদের বিবেচনায় নেওয়া হবে। এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো ডিলারশিপ দেওয়া হবে না। যাঁরা কৃষি খাতে দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান সরকারের সময় সার কেনার সব প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আগের চেয়ে বেড়েছে।
উপদেষ্টা গতকাল সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। দেশে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। শাক-সবজি সংরক্ষণে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের আধুনিক সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্যায় দেশের পাঁচটি জেলায় ফসলের উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সারের মূল্য পরিশোধ করতে সরকারের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সে সংকট সরকার কাটিয়ে উঠেছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনীসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শাক-সবজির বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে গত অর্থবছরে প্রায় ৩৩ লাখ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।