চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাচোল এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
বুধবার (২৩ জুলাই) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে লুটপাট, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা ছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।
রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুময়ান রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে৷
গোমস্তাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামান উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা। গ্রেফতার জামাল উদ্দিন (৫৬) গোমস্তাপুর বাজারপাড়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিবগঞ্জ পৌরসভার বাগানটুলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মো. সাফিউল ইসলাম নিরব ওরফে কানা নিরবকে। কানা নিরব (২৭) বাগানটুলী এলাকার মো. রবিউল ইসলাম রবুর ছেলে এবং শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এ দিকে, নাচোল থানা পুলিশের পৃথক মামলায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন: নাচোল পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামের মৃত বেলাল আনসারীর ছেলে মো. মঞ্জুর আনসারী (৪২)। তিনি আওয়ামী লীগের নাচোল পৌর শাখার সদস্য। আটক আরেক আওয়ামী লীগ নেতা নাচোলের ঘিওন ডাউনপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আমিত হাসান মিঠুন (২৭)। তিনি আওয়ামী যুবলীগের নাচোল উপজেলা শাখার সক্রিয় সদস্য।
এ ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে দুরুল হুদা এবং হুজরাপুর জেলা পরিষদসংলগ্ন এলাকা থেকে মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ নামে আরও দুই যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি মালখানা লুটপাটের মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এমআর/এসএন