ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহ্যামের হয়ে প্রথম পেশাদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন ফারহান আলি ওয়াহিদ। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে খেলা ফারহান চাইলে একদিন খেলতে পারেন বাংলাদেশের হয়েও। হতে পারেন হামজা চৌধুরীর উত্তরসূরি। কারণ তার রক্তে বইছে বাংলাদেশের উত্তরাধিকার।
গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) নিজেদের ওয়েবসাইটে ফারহানের সঙ্গে পেশাদার চুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে ফুলহ্যাম। ২০১৯ সালে চেলসির একাডেমি থেকে ফুলহ্যামে যোগ দেন তিনি। মটসপুর পার্কে এসে অনূর্ধ্ব ১৩ পর্যায় থেকে খেল শুরু করেন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উইঙ্গার।
১৮ বছর বয়সী ফারহান গত মৌসুমে ইনজুরির কারণে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি, তবে ইনজুরি থেকে ফিরে অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে ২০ ম্যাচ খেলে ৭টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করে নজর কাড়েন। যার প্রেক্ষিতে তাকে প্রথমবারের মতো পেশাদার চুক্তিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফুলহ্যাম।
এরই মধ্যে ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-২১ দলেও খেলে ফেলেছেন তিনি। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ইন্টারন্যশনাল কাপে বেঞ্চ থেকে নেমে পিএসভির বিপক্ষে গোল করেন তিনি, থ্রিলিং ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৪-৪ গোলে ড্র হয়।
ক্যারিয়ারের পেশাদার চুক্তি করার পর ফারহান বলেন, 'সত্যিই আমি এই অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারছি না। যখন থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই এই মুহূর্তটার জন্য কাজ করে গেছি। এখন আমি এখানে, এটা সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি।'
'আমি ফুলহ্যামে অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায়ে যোগ দিয়েছিলাম আর এই যাত্রাটা রোলারকোস্টারের মতো। আমি এখানে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসার পথে আমি আমার চারপাশে সবসময় দারুণ সব ছেলেকে পেয়েছি, যারা আমাকে সবসময় উষ্ণতায় স্বাগত জানিয়েছে। আমার স্বপ্ন অর্জনের পথে আমার পরিবার সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে এবং এর জন্য তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা আমাকে সবসময় উপদেশ দিয়েছে এবং আমার পা মাটিতে রাখতে সাহায্য করেছে,'–তিনি যোগ করেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ফারহানের জন্ম ২০০৬ সালে। তার বাবা-মা দুজনই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ইংল্যান্ড ছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ আছে তার সামনে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে প্রতিভার প্রমাণ রাখা এই উইঙ্গার একদিন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়াবেন বলে আশাবাদী দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
এমআর/এসএন