আসাদ পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম বড় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সৌদির

সিরিয়ার রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো প্রকল্পে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দামেস্কে এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের পর আহমেদ আল শারার সরকার ক্ষমতায় আসে। শুরু থেকেই সৌদি আরব এই সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

বুধবার সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী আল-ফালিহের নেতৃত্বে প্রায় ১৫০ জন বিনিয়োগকারী এবং সৌদি সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদল দামেস্কে একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার দামেস্কে এক সম্মেলনে খালিদ আল-ফালিহ বলেন, ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের বৃহত্তর চুক্তির অংশ হিসেবে সিরিয়ার রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো প্রকল্পে ২.৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

চলতি বছরের শুরুতে সৌদি আরব এবং কাতার বিশ্বব্যাংকের কাছে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।

জুলাই মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেন, যার লক্ষ্য ছিল দেশটিকে আবার বৈশ্বিক অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনা।

এর আগেই সৌদি আরব ও তুরস্কের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মে মাসে ট্রাম্প সিরিয়ার বিরুদ্ধে থাকা বেশির ভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। মে মাসে সৌদি সফরের সময় ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আসাদ উৎখাতের পর শারা তার প্রথম বিদেশ সফরে রিয়াদ গিয়েছিলেন।

তবে দেশ ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দামেস্কের নতুন সরকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে সুয়েইদা প্রদেশে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দ্রুজ যোদ্ধা ও সুন্নি বেদুইনদের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে এবং তা পরে আরো ব্যাপক রূপ নেয়। এ পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইল সরকারপন্থি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য মতে, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই দ্রুজ সম্প্রদায়ের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দীর্ঘ বিরতির পর ফের নাটকের গানে আরফিন রুমি Jul 26, 2025
img
সেবাকে দায়িত্ব হিসেবে নিলেই জুলাই আন্দোলন সার্থক হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবহেলা, ৮ পরীক্ষককে আজীবন অব্যাহতি Jul 26, 2025
img
শুধু অভিযোজন নয়, দরকার বিশ্বব্যাপী নির্গমন হ্রাস: পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
বিটিএসের এজেন্সির বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান Jul 26, 2025
img
‘কুলি’ নিয়ে রেকর্ডের আকাঙ্ক্ষা নেই, বললেন লোকেশ কানাগারাজ Jul 26, 2025
img
সততা পরিশ্রম আর স্বপ্ন, জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করে: আইজিপি Jul 26, 2025
img
‘অ্যানিমেল’ নির্মাতার মুখে ‘কিংডম’-এর প্রশংসা, বললেন সুপারহিট Jul 26, 2025
img
ছবির ক্যাপশনে ‘এমনি’ পোস্টের রহস্য জানালেন দেব Jul 26, 2025
img
রেলপথকে পরিকল্পিতভাবে রেশনালাইজেশন করা হবে: শেখ মইনউদ্দিন Jul 26, 2025
জামায়াতের প্রার্থী তালিকায় তরুণদের দাপট Jul 26, 2025
img
মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে বিজিবি ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন Jul 26, 2025
img
ইরানে এবার আদালতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৫ Jul 26, 2025
img
আফ্রিকায় প্রথম সেনেগালের গণপরিবহনে যুক্ত হলো ১২১টি বৈদ্যুতিক বাস Jul 26, 2025
img
আজকের দিনে আইপিএল খেললে ফারুখও পেতেন পান্তের সমান ২৭ কোটি : গাভাস্কার Jul 26, 2025
img
ব্যবসায়ীদের থেকে আগে ১ লাখ টাকা ঘুষ নিলে এখন নিচ্ছে ৫ লাখ: মির্জা ফখরুল Jul 26, 2025
img
সেপাং রেসিং ট্র্যাকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার অভিক আনোয়ার Jul 26, 2025
img
ফিটনেস বা স্কিল নিয়ে অনেক কাজ করছেন সাকিব ভাই : নিহাদুজ্জামান Jul 26, 2025
img
মালয়েশিয়ার অভিবাসন প্রধানের সঙ্গে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 26, 2025