ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ২১ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে পুশইনের ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১১১৬ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ২১ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখে।
আটকদের মধ্যে ৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী, ৮ জন কিশোর-কিশোরী এবং ৩ জন শিশু রয়েছে। তারা ৬টি পরিবারের সদস্য।
বিজিবি জানায়, ওই রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে পরে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে শ্রমিক হিসেবে হোটেল ও বাসাবাড়িতে কাজ করছিল। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে। পরে রোহিঙ্গা পরিচয় নিশ্চিত হলে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএসএফ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, ‘আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১১ তারিখেও একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছিল বিএসএফ।
কেএন/এসএন