চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নিরব রয়েছে : নয়ন

রাজধানীর গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটক হয়েছেন পাঁচজন। আজ শনিবার রাত আটটার দিকে তাঁদের গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এই পাঁচজন হলেন মো. রিয়াদ, মো. সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম ও মো. আমিনুল। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।

এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা চাঁদাবাজি করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দিতে চায়।

আজ রবিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে এসব কথা বলেন এ যুবনেতা।

তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বাসায় বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজি করছে এটা নতুন কিছু নেই। এটা একটু গ্রুপ যারা সারা বাংলাদেশে চাঁদাবাজি করে, দখলদারিত্ব করে। এবং সেটাকে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায় বিভিন্ন সময়।’

চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নিরব রয়েছে জানিয়ে এ যুবনেতা বলেন, ‘আপনারা পুরান ঢাকার একটি ঘটনা দেখেছেন।

যেটি ব্যবসায়িক দ্বন্দের মধ্য দিয়ে ঘটেছে। সেটাকে বিএনপির নাম দিয়ে বাংলাদেশে একটা মব সৃষ্টি করে বিএনপির ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য ষরযন্ত্র করা হয়েছে, চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা জানেন একটি মিথ্যা ঘটনাকে সামনে এনে বিএনপিকে দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরকম গুলশানের মতো একটা সোসাইটিতে বাসার ভেতরে গিয়ে চাঁদাবাজি করছে, সেটা নিয়ে কিন্তু অন্য কোনো দল কখনোই কথা বলছে না। তার মানে এই চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নিরব রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা রিয়াদ, অপুসহ কয়েকজন। সেদিন বাসায় ছিলেন শাম্মী আহমেদের স্বামী। তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রিয়াদ, অপুসহ অন্যরা। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দেন। আজ রাত আটটার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। পুলিশ আগে থেকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


পিএ/ এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খায়রুল হকের শুনানিতে বিচারিক কাজে অসহযোগিতায় ডিসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ Jul 27, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: গ্রেফতার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট Jul 27, 2025
img
রাফার কণ্ঠে শোক: হাজার মানুষের কাজ একাই করতেন রাতুল Jul 27, 2025
img
রাষ্ট্রের মূলনীতির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি : আলী রীয়াজ Jul 27, 2025
img
বিদেশি চিকিৎসক দলকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে পথহারা বাংলাদেশ : জিল্লুর রহমান Jul 27, 2025
img
রোনালদোর পথ অনুসরণ করে আল নাসরে ফেলিক্স Jul 27, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে : আখতার হোসেন Jul 27, 2025
img
মুন্সীগঞ্জের কারাগারে বন্দি অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার Jul 27, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনছে বাংলাদেশ Jul 27, 2025
পুলিশ কমিশন কি গঠন করা হচ্ছে? যা বললেন ফুয়াদ Jul 27, 2025
img
দেশটা কারো বাপের সম্পত্তি না: শবনম ফারিয়া Jul 27, 2025
img
তৃতীয় দফা শুল্ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল Jul 27, 2025
img
অব্যবস্থাপনায় ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে ৩-৫ ডিগ্রি Jul 27, 2025
img
‘অ্যানিম্যাল’ পরিচালকের 'স্পিরিট'-এ জুটি বাধছেন প্রভাস-তৃপ্তি Jul 27, 2025
img
নিজের নামের আগে ‘মেগাস্টার’ তকমা পছন্দ করেন না দেব Jul 27, 2025
img
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন Jul 27, 2025
img
দক্ষিণের ব্যর্থতার পর বলিউডে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শ্রীলীলার Jul 27, 2025
img
দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধের ঘোষণা Jul 27, 2025
img
টাঙ্গুয়ার হাওরে অবৈধ হাউসবোট জব্দের আইনি নির্দেশ Jul 27, 2025