পাকিস্তানি নাটকের জনপ্রিয়তা এখন আর শুধু সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও সেই নাটক আর তার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হয়ে উঠেছেন পরিচিত ও প্রিয় মুখ। আর এই তালিকায় শীর্ষেই রয়েছেন ইয়ুমনা জায়েদি।
অভিনয়ের পাশাপাশি ইয়ুমনার পোশাক নির্বাচন, স্টাইল আর পর্দার উপস্থিতি বরাবরই নজর কেড়েছে দর্শকদের। তবে এবার তাঁকে ঘিরে যে উচ্ছ্বাস, তা যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে। কারণ এবার তিনি ধরা দিয়েছেন একেবারে বাংলাদেশি রূপে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেছেন ইয়ুমনা, যেখানে তাঁকে দেখা গেছে শাড়ি পরা অবস্থায়। খোলা চুল, মিষ্টি হাসি আর দৃষ্টিতে যে পরিণত আত্মবিশ্বাস—সব মিলিয়ে তিনি যেন হয়ে উঠেছেন একেবারে বাঙালি রমণী। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘বাস্তবতার প্রকৃত স্বরূপে এক জাগরণ, মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’
এই একটি ছবিই যেন নেটদুনিয়ায় তুমুল আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশের নেটিজেনরা মন্তব্যের ঘরে একের পর এক প্রশংসা ছুড়েছেন ইয়ুমনার দিকে।
একজন লেখেন, ‘‘সে দেখতে বাংলাদেশি মেয়েদের মতো লাগছে।’’
আরেকজন বলেন, ‘‘তোমাকে এই শাড়িতে একেবারে বাংলাদেশি মেয়েদের মতো লাগছে, মাশা-আল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালোবাসা রইলো।’’
আরও এক মন্তব্য—‘‘কেউ এত সুন্দর কীভাবে হতে পারে! এই শাড়িটা একেবারে বাংলাদেশি ঘরানার।’’
ইয়ুমনা জায়েদির অভিনয় জীবন শুরু হয় ২০১২ সালে ‘থাকান’ নাটক দিয়ে। এরপর একের পর এক প্রশংসিত চরিত্রে কাজ করেছেন তিনি—‘রিশতে কিছু আধূরায় সে’, ‘ডর সি যায়তি হ্যায় সিলা’, ‘পেয়ার কে সাদকে’, ‘ইনকার’, ‘দিল না উম্মীদ তো নাহি’। তবে ‘তেরে বিন’ নাটকে ‘মীরাব’ চরিত্রে অভিনয়ের পর তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
শাড়ি পরা ইয়ুমনার এই ছবিই যেন প্রমাণ করল—শুধু অভিনয়ে নয়, স্টাইল ও সংস্কৃতিতেও তিনি আপন হয়ে উঠছেন বাংলাদেশিদের কাছে।
এসএন