জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি একটি দলের বা একজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেন তাহলে বাংলাদেশের বাকি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। অবশ্যই জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় ১৯তম দিনের আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যায়, এরকম সুপারিশগুলোতে আমরা একমত হতে পারি। তাহলে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।
এনসিপির এ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এরকম একটা টাইমলাইন অনেক আগেই বলেছেন। আমরা মনে করি এই টাইমলাইনের মধ্যেই বিচার-সংস্কার দৃশ্যমান পর্যায়ের উন্নীত করা সম্ভব। একইসঙ্গে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সে সময়কালের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার, সংস্কারকে দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা, জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং একইসঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণার দিকে যেতে হবে। অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।
আখতার হোসেন বলেন, এর আগে লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। যদি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই ক্ষেত্রে যারা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই বিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যদি সরকার নির্বাচনের মতো বিষয়কে খোলাসা করতে শুরু করে, তাহলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করব।
ইউটি/এসএন