প্রয়াত চিত্রনায়ক জসিমের ছেলে ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ওন্ড-এর ভোকালিস্ট ও ফ্রন্টম্যান এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
রাতুলের এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার সহশিল্পী ও ভক্তরা। কারণ একদিন আগেও সম্পূর্ণ সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলেন তিনি।
প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার দুপুরেও রাজধানীর উত্তরার একটি জিমে ব্যায়াম করছিলেন এই গায়ক। সেখানেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
তাৎক্ষণিক তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হয়। আইসিইউতে রেখেও আর ফেরানো যায়নি এই গায়ককে। অল্প বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নায়কপুত্র।
নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।
মাত্র একদিন আগেই ভাই এ কে রাহুলের সঙ্গে ফেসবুকে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল রাতুলকে। যেখানে রাহুল মোহাম্মদপুর থানার ওসির একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি করা ফটোকার্ড শেয়ার করেন।
সেই ফটোকার্ডে এক সাংবাদিকের উদ্দেশে মোহাম্মদপুর থানার ওসির মন্তব্য ছিল, আমি ওসি হয়েও এই কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!
ওই পোস্টের কমেন্টেই ভাইকে উদ্দেশ্য করে রাতুলকে বলতে শোনা যায়, ‘নোকিয়া ১১০০ সবার জন্য দেখ তাহলে একটা করে!’
জবাবে রাহুল বলেন, ‘ওইটা দিয়ে তো মাথায় বাড়ি দিলে আরও সহজে ছিনতাই হবে।’
দুই ভাইয়ের এই খুনসুটি দেখেও এখন আবেগে ভাসছেন ভক্তরা। অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলছেন, মাত্র একদিন আগেও সুস্থ-সবল মানুষটা এখন দুনিয়াতেই নেই!
এসএ