ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ফের হামলার হুমকি ট্রাম্পের

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনরায় চালুর চেষ্টা করা হলে মার্কিন সৈন্যদের নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে তেহরান বরাবরের মতো পশ্চিমাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পরও অভ্যন্তরীণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ‘‘অত্যন্ত বাজে ইঙ্গিত’’ দিচ্ছে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করার যেকোনও প্রচেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের পারমাণবিক সম্ভাবনা একেবারে মুছে দিয়েছি। তারা আবার শুরু করতে পারে। কিন্তু এর পরিণতি আগের চেয়েও দ্রুত হবে; আঙুল নাড়ানোর আগেই আমরা তা ধ্বংস করে দেব।’’

গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ১২ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাসহ অন্যান্য অনেক সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো নিশানা করে ইসরায়েল। সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ইসরায়েলকে সহায়তা করে আসা যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের শেষের দিকে ইরানের মধ্য ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার হামলা চালায়।

সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘পুরোপুরি এবং চূড়ান্তভাবে’ ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন করতে আরও সময় লাগবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণকি কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস নয়, কেবল নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। 


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট নতুন ব্যাপার না : সারোয়ার তুষার Nov 26, 2025
img
আমি আবেগপ্রবণ, একা বসে কেঁদেছি: নুসরাত জাহান Nov 26, 2025
img
তৃতীয়বার একসঙ্গে পর্দায় আসছেন তামান্না ও অজয় Nov 26, 2025
img
আমাকে নিয়ে নোংরামি করিয়েন না, প্লিজ : খাদিজাতুল কুবরা Nov 26, 2025
img
হুমা কুরেশির স্পষ্ট বক্তব্যে নতুন আলোচনার ঝড় Nov 26, 2025
img
কঠিন মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী থাকার বার্তা বচ্চনের Nov 26, 2025
img
শুধুমাত্র নিজের কাজের প্রতিফলন গুরুত্বপূর্ণ: আনুশকা শর্মা Nov 26, 2025
img
জীবনের বাধা পার করার প্রেরণা দিলেন শাহরুখ খান Nov 26, 2025
img
প্রতিকেন্দ্রে নির্ধারিত সংখ্যায় সেনা মোতায়েন সম্ভব নয়: সিইসি Nov 26, 2025
img
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগে উন্নতি হবে: সিইসি Nov 26, 2025
img
বিয়ের প্রশ্নে খোলামেলা স্বীকারোক্তি দিলেন শ্রীলীলা Nov 26, 2025
img
তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে : সিইসি Nov 26, 2025
img
প্রতিভাই প্রকৃত সৌন্দর্য: রণবীর সিং Nov 26, 2025
img
অরুণাচল ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ, চীনের দাবির পর জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Nov 26, 2025
img
৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই মহাবিপদের আশঙ্কা , রেড জোনে দেশের বড় এক অঞ্চল Nov 26, 2025
img
‘ভারতকে পায়ের তলায় রাখতে চেয়েছিলাম’ Nov 26, 2025
img
নবম থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে পরিণত হলো ঢাকা Nov 26, 2025
img
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু! Nov 26, 2025
img
হেরে যাওয়া নয়, সাহসী হওয়া জরুরি: হৃত্বিক রোশান Nov 26, 2025
img
বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তাকে সম্মানসূচক পদক প্রদান করলো ফরাসি সরকার Nov 26, 2025