বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেছেন, অনেকেই বলেছে অপরিহার্য বলতে কিছু নেই। তাহলে অপরিহার্যতা শব্দটাও থাকত না। এই সমস্ত সস্তা কথা বলার জন্য বলতে পারেন। আমরা মনে করছি যে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতাকে খর্ব করে দেওয়া হচ্ছে এবং এতে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ২০তম দিনের আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, সেই জায়গায় আইনটিকে আমরা শক্ত করার জন্য বলেছি। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যেন জটিলতা না হয়। সবকিছু আমরা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি। সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা-আযোগত্যা বয়সসীমা, দায়িত্ব ও কার্যপরিধি, কর্মের শর্তাবলি, পদত্যাগ ও পুনঃ নিয়োগ লাভের সুযোগ/অধিকার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা ইত্যাদি সরাসরি সংবিধানে উল্লেখ করা যেতে পারে বলে সংবিধানটাকে এত বড় করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
সংবিধানে এতসব নিটিগ্রিটি জিনিসগুলো যদি থাকে তাহলে তাতে জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে উল্লেখ করে এহসানুল হুদা বলেন, তখন গণতন্ত্রটাকে কনস্টিটিউশনাল গণতন্ত্র বলতে হবে। আমরা যেন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করি। স্বৈরাচারের পতনের পরেও আমরা নিজেদের মধ্যে দোষারোপ করছি। বাস্তবতা বা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে না জেনে অনেক কিছু বলছি।
জাতীয় দলের চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনতে চাচ্ছি সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আইনগুলোকে শক্ত করুন। আজ আমরা রাষ্ট্র যে স্বৈরতন্ত্র/ফ্যাসিবাদের ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সেটা আবারও ফিরে আসার কোনো সুযোগই নেই। আমরা সবাই মিলে যদি একটি কার্যকরী সংসদ করতে পারি, শক্ত বিরোধী দল থাকে, নির্বাহী বিভাগের আইনগুলো শক্ত করি তাহলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথচলা সহজ হবে।
সংবিধান সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শক্ত আইন করতে হবে বলে উল্লেখ করে এহসানুল হুদা আরও বলেন, আমরা কমিশনে বসেছি রাষ্ট্রে যাতে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরতন্ত্রের আর উদ্ভব না হয়।
পিএ/টিএ