মোহিত সুরির পরিচালনায় ‘সাইয়ারা’ ছবিটি ইতিমধ্যেই বক্সঅফিসে রেকর্ড তৈরি করেছে। এই মুহূর্তে এই ছবি বলিউডের সর্বোচ্চ ব্যবসা করা ছবির তালিকায় ২৬ স্থানে রয়েছে। এখনও অবধি ‘সাইয়ারা’-এর বক্স অফিস কালেকশন ২৬৬ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী ৪০৪ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে আমির-শাহরুখ বা অজয় দেবগণের হিট ছবির ব্যবসাকেও। সেই দৌড়ে কোন ছবিকে বলে বলে কটা গোল দিল নবাগত অভিনেতা-অভিনেত্রী অহন পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার ছবি জেনে নিন।
শাহরুখের ছবি ‘ডাঙ্কি’ বক্স অফিসে ব্যবসা ব্যবসা করেছিল ২২৭ কোটি। অজয় দেবগণের ছবি সিঙ্ঘম এগেইন বক্সঅফিসে ব্যবসা করেছিল ২৪৭.৮৬ কোটি। শুধু তাই নয় আমিরের সাম্প্রতিককালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ বক্স অফিসে ব্যবসা করেছিল ২৬৪ কোটি টাকা। আমিরের সেই ছবির রেকর্ড ভেঙেছে ‘সাইয়ারা’। এখানেই শেষ নয় একইসঙ্গে এই ছবি প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ‘কবীর সিং’-এর সাফল্যকে। শুধু তাই নয়, পিছনে ফেলেছে, ‘আশিকি ২’, ‘মার্ডার ২’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’, ‘এক ভিলেন’-এর মতো ছবিগুলিকে। শুধু তাই নয় মাত্র ৪দিনেই এই ছবি পেরিয়ে গিয়েছিল ১০০কোটির গণ্ডি।
![]()

‘সাইয়ারা’র মূল আকর্ষণ হল অহন পান্ডের উপস্থিতি, অহন-অনীতের কেমিস্ট্রি এবং ছবির গান। টাইটেল গানটি ছাড়াও অন্যান্য গানগুলোও ভীষণ শ্রুতিমধুর। কানে বাজে। প্রথম ছবিতে অহন সবরকম ভাবেই দর্শকদের মন জয় করেছে। এলোমেলো চুলে এই ছটফটে ছেলেটির প্রেমে না পড়ে উপায় নেই। তার চোখ কথা বলে। এই ছবির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলো কথা বলায় নয়, বরং নীরবতায়। যেভাবে তাকালে সব কথা বলা হয়ে যায়, যেভাবে তাকালে প্রেম হয়ে যায় অহন পাণ্ডে সেইভাবে তাকাতে পারেন। এবং অনীত তার নিষ্পাপ মুখের সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পেরেছেন এই ছবিতে। আবেগ এই ছবির বড় অস্ত্র। আর এই প্রেমের জলধোয়া, অশ্রুস্নাত আবেগ দর্শক খুব মিস করছিলেন বড় পর্দায়। বিশুদ্ধ এই আবেগই ‘সাইয়ারা’র চালনাশক্তি। এটা ভেবে একটু আশ্বস্ত হলাম যে, ‘অ্যানিমাল’-এর যুগে ভায়োলেন্স, মিসোজিনি, পিতৃতন্ত্রের পাশে জয় হয় প্রেম, ভালোবাসা, প্যাশন এবং ‘সাইয়ারা’র ।
এমকে/টিএ