সিনেমায় নারী চরিত্র মানেই তাকে ঘিরে প্রেম, কান্না বা বলিপড়া একটা নায়ককে। কিন্তু এবার সে নিয়ম ভাঙতে চলেছেন ‘অ্যানিমেল’ ও ‘কবির সিং’-এর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। পুরুষ নয়, বরং নারীই হবেন তাঁর আগামী ছবির একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু। এমন সাহসী ভাবনা একঝলকে আলোড়ন তুলেছে সিনেপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া—সবখানে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ ও বলিউড মিলিয়ে যাঁদের অভিনয়ে বাস্তবতা মেশানো সৌন্দর্য, তাঁদের মধ্যে সাই পল্লবী অন্যতম। আর তাই পরিচালক ভাঙ্গার নারীকেন্দ্রিক ভাবনায় নাম উঠে এসেছে এই অসাধারণ অভিনেত্রীর। কোনো পুরুষ মুখ্য চরিত্র ছাড়াই একাই একটা সিনেমার ভার কাঁধে তুলে নেয়ার যোগ্যতা তাঁর রয়েছে বলেই মনে করছেন অনুরাগীরা।
সাই পল্লবী মানেই অনাবিল স্বাভাবিকতা, কৃত্রিমতা বা মেকআপের ভার নেই তাঁর অভিনয়ে। চোখের ভাষায় তিনি বলে দেন একটা আস্ত গল্প। আর তাই, এমন এক নারীকেন্দ্রিক ছবির জন্য তাঁকেই অনেকে দেখছেন আদর্শ মুখ হিসেবে।
তবে এটা শুধু পরিচালকের বা দর্শকের কল্পনাই নয়, বরং হতে চলেছে নতুন এক সিনেমার বাস্তবতা। বলিউডে যেখানে এখনো পুরুষ নায়ককে ঘিরেই বড় প্রজেক্ট গড়ে ওঠে, সেখানে এই পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে এক বড় বিপ্লবের ইঙ্গিত।
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা এর আগে ‘অর্জুন রেড্ডি’, ‘কবির সিং’ ও ‘অ্যানিমেল’-এর মতো পুরুষপ্রধান গল্প বানিয়েছেন, যেখানে নায়কের মানসিক টানাপোড়েন ও তীব্র আবেগ ছিল কেন্দ্রে। এবার তাঁর চোখ নারীর জগতে—তাঁর কণ্ঠ, তাঁর কষ্ট, তাঁর যুদ্ধ, তাঁর জয়।
এই ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও না হলেও, এতটুকু বোঝাই যাচ্ছে—ভারতীয় মূলধারার সিনেমায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বড় প্রযোজক ও বড় পরিচালকের হাত ধরে সামনে এলে সেটা কেবল আলোচনার জন্মই দেবে না, বরং বক্স অফিসেও জিততে পারে।
এখন অপেক্ষা—সন্দীপের ভাবনাটা স্ক্রিপ্টে কতটা জায়গা পায়, আর সেই স্ক্রিপ্টে আদৌ সাই পল্লবী আসেন কি না। তবে সিনেমাপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন।
এসএন