দুই দিনেই জমে উঠেছে ওভালে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার লড়াই। এক দিনেই ১৫ উইকেট পতন, এমতাবস্থায় এখন পর্যন্ত অবশ্য কাউকেই এগিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। শুক্রবার (১ আগস্ট) দিনের শুরুতে ২২৪ রানে অলআউট হয় ভারত। এরপর লিড পেলেও অবশ্য বড় সংগ্রহ করার আগেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দিনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা, লিড দাঁড়ায় ৫২ রান।
দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখিয়েছে ভারতের পেসাররা। মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তাতে অবশ্য মাত্র ২৩ রানের লিড পায় ইংলিশরা। এই ইনিংসে দুই পেসার শিকার করেন ৪টি করে উইকেট।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২০ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় ভারত। ওভালের পেসবান্ধব উইকেটে অ্যাটকিনসন-টাংয়ের সামনে টিকতে পারেননি গিল-রাহুলরা। মাত্র ২২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত দিন শেষ করেছে ৫২ রানে এগিয়ে থেকে। হাফ-সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন যযশ্বী জয়সাওয়াল। আর ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নাইট ওয়াচ ম্যান আকাশ দীপ। সামান্য কয়েকটা রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৪৬ রান। ৭ রান করা লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জশ টাং। এরপর সাই সুদর্শনকে থিতু হতে দেননি অ্যাটকিনসন। পরে এক প্রান্তে আগলে রেখে দিন পার করেন জয়সওয়াল।
এর আগে দারুণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৯। এরপর তাসের ঘরের মতো যেন ধসে গেল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। মোহম্মদ সিরাজ বোলিং করতে এসে একাই ধসিয়ে দিলেন। ঝোড়ো এক স্পেলে ৮ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাজঘরে ফেরান অলি পোপ, জো রুট ও জ্যাকব বেথেলকে। তিনজনকেই এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন সিরাজ। আর তাতেই খেই হারায় স্বাগতিকরা।
এরপরের তিনটি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ। জেমি স্মিথকে সাজঘরে ফেরান রাহুলের ক্যাচ বানিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই জেমি ওভারটনকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন প্রসিদ্ধ। ১৬ বলে ১১ রান করা অ্যাটকিনসন ফেরেন আকাশের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন হ্যারি ব্রুক। কিন্তু সিরাজের নিখুঁত ইয়র্কার আর তিনি আটকাতে পারেননি। ফেরেন ৬৪ বলে ৫৩ রান করে। চোটের কারণে ক্রিস ওকস ব্যাট করতে না পারায় ২৪৭ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ইংলিশরা। দীর্ঘ দুই মাস পর একাদশে ফেরা এই পেসার ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন ২২৪ রানে। ক্রিস ওকসের ইনজুরির পর বোলিংয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় অ্যাটকিনসনকেই। তবে এ দায়িত্ব অবশ্য তিনি দারুণভাবেই সামলেছেন।
সকালে প্রথম আঘাতটা হানেন জশ টাং, করুণ নায়ারকে ৫৭ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ক্যাচ তুলে দেন ডিপ স্কয়ার লেগে। সিরাজ ও কৃষ্ণাকে দ্রুত ফেরান অ্যাটকিনসন। ১৮ বলের মধ্যেই শেষ ৪ উইকেট হারায় ভারত। আর তাতেই ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।