জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। এক মাস পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার আরেকটি এশিয়ান মিশন নিয়ে লাওস রওনা হয়েছেন। ঢাকা থেকে দেড়টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সেখানে ঘণ্টা দেড়েক বিরতির পর লাওসের বিমানে উঠবেন আফিদারা।
আগামী ৬-১০ আগস্ট লাওসে নারী এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই। বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক লাওস, শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল তিমুরলেস্তে। দক্ষিণ কোরিয়া থাকায় বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবিক অর্থে নেই। তাই বেশি পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আট গ্রুপের সেরা তিন রানার্সআপ হয়ে আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
৬ আগস্ট স্বাগতিক লাওসের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। ওই ম্যাচকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ পিটার বাটলার। গ্রুপ রানার্সআপ হতে হলে ম্যাচটিতে জয় প্রয়োজন। স্বাগতিকরা সেই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের জন্য বাস্তবিক অর্থে পরের দুই ম্যাচ হবে কেবল আনুষ্ঠানিকতাই। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচটি সিনিয়র এশিয়া কাপের জন্য খানিকটা প্রস্তুতির মঞ্চও।
দেশের বাইরে টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচ খেলতে রওনা হওয়ার সময় টিম কন্টিনজেন্টের সবাই অফিসিয়াল কিট পরেন। এটাই নিয়ম ও অলিখিত সংস্কৃতি। আজ বিমানবন্দরে টিম ফটোসেশনে হেড কোচ পিটার বাটলারকে দেখা যায়নি। কারণ তিনি অফিসিয়াল কিটের পরিবর্তে সাধারণ পোশাক পরেছেন। ইংল্যান্ডের এই কোচ নানা ইস্যুতে বাংলাদেশের ফুটবল ও সংস্কৃতি নিয়ে নানা মন্তব্য করেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব পুরোপুরি বজায় রাখেন না তিনি নিজেও। ফেডারেশনের চোখে অবশ্য বাটলারের এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে না।
এমকে/টিকে