বলিউডের ‘আইকনিক কমেডিয়ান’ জনি লিভারকে দর্শকরা চেনেন হাসির জাদুকর হিসেবে। কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে এক অজানা অন্ধকার অধ্যায়, যা খুব কম মানুষই জানেন।
পর্দায় শত হাসির মুহূর্ত তৈরি করলেও, বাস্তব জীবনে জনি লিভার দীর্ঘ সময় ধরে লড়েছেন মদের নেশার সঙ্গে।
নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০০ সালের গোড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০টি ছবি মুক্তি পেত প্রতিবছর। সে সময় অভিনয়ের পাশাপাশি গভীর রাতে মদ্যপান ছিল তার নিত্য অভ্যাস। মুম্বাইয়ের জুহু চৌপাটির সৈকতে বসে তিনি একাই পান করতেন গভীর রাত পর্যন্ত।
এক সাক্ষাৎকারে জনি বলেন, “প্রায় প্রতিদিন রাত ৪টা পর্যন্ত জুহু সৈকতে বসে মদ খেতাম। পুলিশ এসে চিনে ফেলত। বলত, ‘জনি ভাই কী করো এসব? যাও, গাড়ির ভেতর ঢুকে খাও।’”
তবে আজকের জনি একেবারেই বদলে গেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে তিনি মদের স্পর্শ পর্যন্ত করেননি। নেশার অন্ধকার থেকে নিজেকে টেনে তুলে এক নতুন জীবনের পথে চলেছেন এই শিল্পী।
বর্তমান প্রজন্মকে উদ্দেশ করে জনি লিভারের পরামর্শ, “যাই করো, সীমার মধ্যে থেকো। অতিরিক্ত কিছুই ভালো না।”
জনির জীবনসংগ্রাম ও বদলে যাওয়ার গল্প প্রমাণ করে, হাসির মানুষটির জীবনের ভিতরেও ছিল এক গভীর যন্ত্রণা, যে যন্ত্রণা তিনি জয় করেছেন সাহসিকতায়।
কেএন/টিকে