আমরা এখনো রপ্তানিমুখী শিল্পে বৈচিত্র্য আনতে পারিনি : সাখাওয়াত হোসেন

‎শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের অনেক শিল্প মালিক আছেন যারা শ্রমিকদের দেখাশোনা না করে নিজেদের দেখাশোনা করেছেন। আমাদের শ্রমিকরা যদি তাদের যথাযথ প্রাপ্য বুঝে না পায় তাহলে আমরা যে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখছি তা বাস্তবায়ন সম্ভব না। গত আট মাসে আমরা দুইবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‎রোববার (৩ আগস্ট) সকালে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‎এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অতীতে যারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ছিল। যারা মন্ত্রী হয়েছেন তাদের নিজেদের কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি। অতীতের এসব কারণে আমাদের কিছুটা চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা নানা দিক থেকে চাপ দিচ্ছে।

‎আমাদের রপ্তানি শিল্প সীমিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখনো রপ্তানিমুখী শিল্পে বৈচিত্র্য আনতে পারিনি। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্প এখনো খুব সীমিত। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পই হচ্ছে গার্মেন্টস। গার্মেন্টস কারখানার জন্যই আমাদের রপ্তানি শিল্প টিকে আছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প আমাদের সম্ভাবনাময় রপ্তানি শিল্প। তবে আমরা সেখানে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারিনি।
‎শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের উদ্দেশ করে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনা কারণে কোনো কারখানার শ্রমিকদের উত্তেজিত করে কারখানার ক্ষতি করা যাবে না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে সেই কারখানার কর্মীরা কর্মহারা গিয়ে পড়েন। তাই নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

‎‎এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নাটোর জেলার ২৪ জন শ্রমিক ও পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

‎এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফিনসহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফপি/ টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে মাত্র ১৭ যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গা থেকে বিশেষ ট্রেন Aug 05, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা যুক্তরাজ্যের Aug 05, 2025
img
বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় বার্ন ইন্সটিটিউটে ৮ জন Aug 05, 2025
img
গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলল কানাডা Aug 05, 2025
img
জ্বালানি তেলের দাম আরও কমার সম্ভাবনা Aug 05, 2025
img
৩ আগস্ট পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, সঙ্গে সঙ্গে ফোন দেন শেখ হাসিনাকে Aug 05, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা Aug 05, 2025
img
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১৯ Aug 05, 2025
img
ভক্তদের ভালোবাসায় ৩৩ বছরের মাইলফলক ছুঁলেন অজিত Aug 05, 2025
img
ক্রিকেটে ফিরছেন বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা খেলোয়াড় অভিষেক Aug 05, 2025
img
২৫ বছর পর ‘লগন’-এর ভুজে ‘সিতারে জামিন পার’-এর প্রদর্শনী Aug 05, 2025
img
এই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে আমরা হতাশ: ডা. তাহের Aug 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রে এসেছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথাও Aug 05, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাল এনসিপি Aug 05, 2025
img
স্ত্রীর জন্মদিনে আবেগঘন পোস্টে মন জয় করলেন রিতেশ Aug 05, 2025
img
প্রেক্ষাগৃহে ৩১ বছর পর সালমান শাহের সিনেমা Aug 05, 2025
img
কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে? Aug 05, 2025
img
জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Aug 05, 2025
img
সংবিধানের তফসিলে থাকছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ Aug 05, 2025
img
আ. লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে : দিপু ভূঁইয়া Aug 05, 2025