দীর্ঘ এক দশক আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রানঝানা’ সিনেমার হৃদয়বিদারক পরিণতি আজও অনেক দর্শকের স্মৃতিতে তাজা। সেই করুণ ক্লাইম্যাক্সেই কেঁদেছেন অসংখ্য দর্শক, যেখানে ধানুশ অভিনীত কুন্দন মারা যায়। তবে সম্প্রতি সিনেমাটি আবার আলোচনায় তবে একেবারে ভিন্ন কারণে।
‘রানঝানা’র তামিল ডাব ভার্সন ‘অম্বিকাপাথি’ নতুনভাবে রিলিজ করা হয়েছে, তবে তাতে ব্যবহৃত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি একটি নতুন পরিণতি। সেই নতুন সংযোজনে দেখা যায়, কুন্দনের মৃত্যু হয় না, বরং বেঁচে যায়। আর এতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
অনেক দর্শক নতুন এই সমাপ্তিকে বলছেন “আরোগ্যদায়ী” তাদের মতে, হৃদয় ভাঙার বদলে এবার এসেছে কিছুটা প্রশান্তি। তবে মূল অভিনেতা ধানুশ তীব্র বিরোধিতা করেছেন এই পরিবর্তনের। তার ভাষায়, “এটি আমি যে ছবিতে অভিনয় করেছিলাম, তা নয়। এই বিকল্প পরিণতি সিনেমার আত্মাটাকেই কেড়ে নিয়েছে।”
পরিচালক আনন্দ এল রাই-ও নিজেকে এই ‘নতুন ভার্সন’ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই এন্ডিংটি সম্পূর্ণ অননুমোদিত। কেউ তার অনুমতি না নিয়েই সিনেমার এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হস্তক্ষেপ করেছেন।
ঘটনাটি ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নৈতিকতা নিয়ে। নির্মাতার ইচ্ছা ও সৃষ্টির প্রতি সম্মান বজায় রাখা কি এখনো সম্ভব? নাকি প্রযুক্তির দাপটে হারিয়ে যাবে শিল্পের আত্মা?
প্রেম, ত্যাগ, আত্মচেতনার গল্প ছিল ‘রাঞ্ঝনা’। কিন্তু তাতে যদি ‘মৃত্যু’ বাদ পড়ে, তাহলে কি গল্পের আবেদন থেকেই যায়?
এমকে/টিএ