শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না, নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে: চসিক মেয়র

ভারী বৃষ্টির পর চট্টগ্রাম নগরীর পানিপ্রবাহ পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে তিনি নগরীর কাপাসগোলা, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুন্সিপুকুর পাড়, বাদুরতলা ও টুপিওয়ালাপাড়া এলাকার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শনের সময় কাতালগঞ্জ-বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত হয়। নগরীর হিজড়া খাল এবং বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে হিজড়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত বড় নালাটিতে জলপ্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন না থাকা জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এজন্য মেয়র সিডিএকে হিজড়া খাল সংস্কার কার্যক্রম বেগবান করতে নির্দেশনা দেন এবং খালের সঙ্গে সংযুক্ত বড় নালাটি থেকে আরও মাটি উত্তোলনের জন্য চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শন শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। চসিকের আওতাধীন ড্রেনেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি ওয়াসা, সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাল ও ড্রেনগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার ও সংস্কার করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা ও আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয় জরুরি।

তিনি বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে চসিকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন পরিষ্কার, পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন এবং ভাঙা-ধসে পড়া ড্রেন মেরামত করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানাই।

মেয়র আরও বলেন, শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না, নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ড্রেন ও খালে আবর্জনা না ফেলা এবং নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। চসিক নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন না হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ছুটিতে বিচারপতি থাকায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের মামলার রায় হচ্ছে না আজ Aug 07, 2025
img
আশুলিয়ার ঘটনায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Aug 07, 2025
img
আরও ২৬ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া Aug 07, 2025
img
মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, ৫ সেনা আহত Aug 07, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে ৭১’র মতো জবাব পাবেন : আহমেদ আযম খান Aug 07, 2025
img
ট্রাম্পের চাপের মুখে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অ্যাপলের Aug 07, 2025
img
মেসিহীন মায়ামিকে জেতালেন ডি পল-সুয়ারেজরা Aug 07, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে পুড়ল আট শতাধিক ঘরবাড়ি Aug 07, 2025
img
গাজায় ত্রাণের ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল ২৫ জনের Aug 07, 2025
img
বিচ্ছেদের পথে সাইফ আলি খান-কারিনা, দাবি পাকিস্তানি সাংবাদিকের Aug 07, 2025
img
গাড়ির ভেতর থেকে জনপ্রিয় অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার Aug 07, 2025
img
ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত অন্যায় বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Aug 07, 2025
img
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেন হুমায়ূন কবীর Aug 07, 2025
img
বাংলাদেশিদের জন্য বাড়লো থাইল্যান্ডের ভিসা ফি Aug 07, 2025
img
জনদুর্ভোগ কমাতে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে: চসিক মেয়র Aug 07, 2025
img
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কোনো সদস্যের মন খারাপ : মেজর হাফিজ Aug 07, 2025
img
ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে: সিইসি Aug 07, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৪১ জন নিহত Aug 07, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা Aug 07, 2025
img
৫৪৮ কোটি টাকায় ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার Aug 07, 2025