সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা-অনীহা দেখালে এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে শাস্তি

‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। কর্মস্থলে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা-অনীহা দেখালে এসিল্যান্ডদের (সহকারী কমিশনার-ভূমি) বিরুদ্ধে শাস্তি হিসেবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।

গত ৪ আগস্ট (সোমবার) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নীতিমালার পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কর্মস্থলে বিভিন্ন রকম অনিয়ম বা অনৈতিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা বা সরকারি দায়িত্ব পালনে অনীহা বা শৈথিল্য প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক হিসেবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদের সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কর্মকাল সাধারণত ২ বছর হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে প্রথম পদায়নে জেলা সদর ও রাজস্ব সার্কেলের বাইরে এই নীতিমালায় উল্লেখ করা ‌‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির উপজেলায় করা যাবে।

নিজ জেলা এবং স্বামী বা স্ত্রীর জেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে পদায়ন করা যাবে না জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ন্যস্ত হলে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী বা স্বামী প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে একই বিভাগে এবং সম্ভব হলে একই জেলায় পদায়ন করা যাবে।

নীতিমালায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে দেশের জেলা ও উপজেলাগুলোকে অবকাঠামোগত অবস্থা, চিকিৎসা ও শিক্ষা সংক্রান্ত সুবিধাদি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাজধানী/বিভাগ/জেলা শহর থেকে দূরত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় তিনটি শ্রেণিতে (ক, খ ও গ) বিন্যস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, কোনো সহকারী কমিশনার (ভূমি) গ-শ্রেণির জেলা/উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরে তিনি ‍ক ও খ শ্রেণির জেলা/উপজেলায় পদায়ন পাবেন। খ-শ্রেণির জেলা/উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরবর্তীতে তিনি ‍ক ও গ শ্রেণির জেলা/উপজেলায় পদায়ন পাবেন। অন্যদিকে ‍ক-শ্রেণির জেলা/উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরবর্তীতে তিনি ‍ক ও খ শ্রেণির জেলা/উপজেলায় পদায়ন পাবেন।

এমআর/টিএ   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশে রিকশা চালালেন, ফুচকা খেলেন আহাদ রাজা মীর Nov 17, 2025
img
সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে Nov 17, 2025
কুমিল্লায় বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হকের গণমিছিল Nov 17, 2025
শেখ হাসিনার রায়: কী বললেন শহীদ শ্রাবণ গাজীর পরিবার? Nov 17, 2025
img
‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’-এ নিজের জন্য ভোট চাইলেন জেসিয়া Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনা ও কামালের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড ঐতিহাসিক রায়: অন্তর্বর্তী সরকার Nov 17, 2025
img
হাসিনার রায় শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের বিজয়ের ঐতিহাসিক রায়: এবি পার্টি Nov 17, 2025
img
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় অতীতের প্রতিশোধ নয় : তাজুল ইসলাম Nov 17, 2025
img
দুই দিনেই ঝড় তুলল অজয়-রাকুল এর জুটি Nov 17, 2025
img
নিরাপত্তা শঙ্কায় নতুন পদক্ষেপ নিলেন দিশা পাটানির বাবা Nov 17, 2025
img
বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: মিয়া গোলাম পরওয়ার Nov 17, 2025
img
নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে : সারজিস Nov 17, 2025
img
পৃথিবীর যেকোনো আদালতে শেখ হাসিনার একই সাজা হবে: চিফ প্রসিকিউটর Nov 17, 2025
img
যেদিন গ্রেপ্তার, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 17, 2025
img
হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে সরকার : আইন উপদেষ্টা Nov 17, 2025
img
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খেলাফত মজলিস আমিরের প্রতিক্রিয়া Nov 17, 2025
img
রায়কে ঘিরে আতঙ্ক দেখতে পাচ্ছি না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনার রায়ের দিনে ঝলক দেখাল পুঁজিবাজার Nov 17, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত, ভারতীয় সেনাপ্রধানের কড়া হুঁশিয়ারি Nov 17, 2025