সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, আজ এই সরকারের সামনে এক বছরের পূর্তিতে সবচেয়ে বড় অভাব হচ্ছে নিরাপত্তা। মানুষের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। কী রাস্তাঘাটে, কী বাসাবাড়িতে। এটা এই সরকার কোনোভাবে অতিক্রম করতে পারল না।
না পারার অনেক বিশ্লেষণ হবে। যে পুলিশ বাহিনী বিধ্বস্ত, কাজ করতে পারছে না। তারপরে অন্যান্য বাহিনী যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারাও সক্রিয় না বা তারা পারছে না। তো এতে ফলাফলটা কী? মানুষের নিরাপত্তাহীনহীনতা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, এই অবস্থায় সামনে কি নির্বাচন হবে, না কী হবে- মানুষের মাথার মধ্যে কিন্তু নেই। নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনা নেই। আবার অনেকে নানান রকম তথ্য বলে- বিপ্লবী সরকার, জাতীয় সরকার, এই সংবিধান অবৈধ, নতুন সংবিধান কর।
তিনি বলেন, মানুষকে আগে বাঁচানো দরকার। সবাই মিলে মিশে যদি ঝাপায় পড়ত যে মানুষের কোনো নিরাপত্তার অভাব হবে না, আজকে থেকে আমরা পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় নিরাপত্তা দেব। না! কোনো রাজনৈতিক দলেরও কোনো এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। আর পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যতটুক সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে তারা চেষ্টা করছে, এর বেশি আর কী করবে আমার জানা নেই। কিন্তু পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
অন্তত এই সরকারের যদি ব্যর্থতা বলি আমি- তাহলে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার এক নম্বর হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা বা সক্রিয়তা যাই থাকুক না কেন, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।