ইউক্রেন যুদ্ধ আগের মার্কিন প্রশাসনের সময়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারতো বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তবে এখন শুধু প্রশ্ন হলো, কবে এটির মীমাংসা হবে? আশা করি খুব শিগগিরই তা হতে পারে।
ট্রায় প্রায়ই বলেন, তার পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তখনই বৈশ্বিক উত্তেজনা সর্বোচ্চে পৌঁছায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছেন, যা ২০২২ সালে যুদ্ধ তীব্র হওয়ার পর থেকে স্থগিত ছিল। তিনি বলেন, তার প্রশাসনের পদক্ষেপ না থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ “অবশেষে বিশ্বযুদ্ধে” গড়াতো।
তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এনেছি, তবে প্রথম যখন দায়িত্ব নিলাম, মনে হয়েছিল, ওহ! ব্যাপারটা ভীষণ খারাপ। এখন শুধু প্রশ্ন হলো, কবে এটির মীমাংসা হবে? আর তা খুব শিগগিরই হতে পারে।”
প্রেসিডেন্ট আবারও এ সংঘাতকে “বাইডেনের যুদ্ধ” বলে উল্লেখ করেন এবং আগের প্রশাসনের কিয়েভকে দেওয়া বিপুল সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, “বাইডেন ও তার দলের মাধ্যমে আমরা সম্ভবত ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো খরচে জড়িয়ে পড়েছি।”
ট্রাম্প আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এ অর্থ তিনি কিয়েভের সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তির মাধ্যমে ফেরত আনার পরিকল্পনা করছেন, যা এ বছরের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের অধিকাংশ খনিজসম্পদ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রে অবস্থিত- যেসব অঞ্চল ২০২২ সালে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়।
মস্কো বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধকে ন্যাটোর এক প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে তুলে ধরে এসেছে এবং কিয়েভকে পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তার তীব্র সমালোচনা করেছে। ক্রেমলিনের মতে, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ ও ইউক্রেনের এ জোটে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষাই এই সংঘাতের মূল কারণ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তার প্রশাসনযার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও রয়েছেন- খোলাখুলিভাবে এই সংঘাতকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলোচনার মূল বিষয় হবে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা।
সূত্র: আরটি
কেএন/টিএ