ব্যাংক একীভূত হবেই, আমানতকারীদের আতঙ্কের কিছু নেই : গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংক একীভূত হবেই, এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। তিনি বলেছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে আমানত নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত থাকবে। সরকার আমানতকারীদের দায়িত্ব নেবে।

কবে নাগাদ কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে আমানতকারীদের এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। সবাই টাকা ফেরত পাবেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

একীভূতকরণের আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে চার ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক সভায় উপস্থিত ছিল না।

জানা গেছে, ব্যাংক একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর ধাপ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক করা হচ্ছে।

এর মাধ্যমে মূলত একীভূত করতে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে ও পদক্ষেপগুলো কী কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। টাকার চাহিদা দিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অক্টোবরের মধ্যে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করতে চায়। গত জুনে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিকে নিয়ে এক বৈঠক থেকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বার্তা দেওয়া হয়।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূতরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করিয়েছে। এই মূল্যায়নে ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকা বা ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ খেলাপি। গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ১৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বা ৯৫ শতাংশ খেলাপি। সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আর এক্সিম ব্যাংকের ২৫ হাজার ১০১ কোটি টাকা বা ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক একীভূত হতে চায় না। এরই মধ্যে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে তাদের আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলা ছবির মর্যাদা ফেরাতে মমতা সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত Aug 13, 2025
সৎ মায়ের বার্তা পেলেন সারা, জন্মদিন হয়ে উঠল বিশেষ! Aug 13, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয় : রিজভী Aug 13, 2025
ইসরায়েলের চার শহরে ড্রোন হামলার দাবি হুতিদের, প্রতিক্রিয়া নেই নেতানিয়াহুর Aug 13, 2025
img
৪০ পেরিয়ে আজও যেন 'অষ্টাদশী' পূজা বাত্রা Aug 13, 2025
ভারতকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুমকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর Aug 13, 2025
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের দাবি হাঙ্গেরির Aug 13, 2025
এই ফেতনার যুগে আপনি যেভাবে ভালো থাকবেন Aug 13, 2025
বরিশালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা না আসা পর্যন্ত অনশনে থাকবে শিক্ষার্থীরা Aug 13, 2025
img
রাজবাড়ীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার Aug 13, 2025
img
বলিউডের ইতিহাসে রেকর্ড গড়া হৃতিক-সুজানের ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ Aug 13, 2025
img
বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদি বরাবর চিঠি Aug 13, 2025
img
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি Aug 13, 2025
img
সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় প্রশাসনের দায় দেখছে দুদক Aug 13, 2025
img
ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে শাস্তি পেলেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার Aug 13, 2025
img
‘টেস্টে দ্বি-স্তর থেকে বের হতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০০ বছর লাগবে’ Aug 13, 2025
img
ভুল বুঝে, ভুল পরিচালনায় মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে কিছু করবেন না : স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক Aug 13, 2025
img
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার Aug 13, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোকেই ইলেকশন চাই, সিলেকশন নয় : তাহের Aug 13, 2025
img
বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায় Aug 13, 2025