সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ভারতীয় বিরেন্দ্রর শেবাগ জানিয়েছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির দল থেকে বাদ পড়ে ২০০৮ সালেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন তিনি। শেবাগের মতে, সে সময় শচীন টেন্ডুলকার পাশে না থাকলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিটা যোগ হতো না তাঁর নামের পাশে।
শেবাগ বলেন, ‘২০০৭-০৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে খেলেছিলাম। তার পর ধোনি আমাকে বাদ দিয়ে দেয়। তার পর বেশ কয়েকটা ম্যাচে আমাকে খেলানো হয়নি। একটা সময় মনে হলো, আমাকে বোধহয় আর প্রথম একাদশে রাখা হবে না। ওই পরিস্থিতির পর আর ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ খুঁজে পাইনি।‘
সে সময় শচীনের কথায় নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা উল্লেখ করে শেবাগ বলেন, “আমি শচীন টেন্ডুলকরের কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। শচীন আমাকে বলে, ‘এক দম না। আমিও ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে এ রকম সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তখন আমারও মনে হত, ক্রিকেট ছেড়ে দিই। খারাপ সময়টা যেমন এসেছিল, তেমন চলেও গিয়েছিল। তোরও একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। কেটে যাবে। আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নিবি না। নিজেকে সময় দে। দু’একটা সিরিজ় দেখ না। তার পর সিদ্ধান্ত নিস।’ পরের সিরিজ়ে আবার সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রচুর রান করেছিলাম। ফলে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাই। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হই।’
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ফর্মে ছিলেন না শেহবাগ। পাঁচ ম্যাচ খেলে করেন মাত্র ৮১ রান। ওই সিরিজে ১০ ম্যাচে গৌতম গম্ভীর করেছিলেন ৪৪০ রান। শচীন করেছিলেন ৩৯৯ রান। দলে প্রত্যাবর্তনের পর শেহবাগ ২০১৩ পর্যন্ত খেলেছিলেন। এ সময়ে ধোনির সহ-অধিনায়কও হয়েছিলেন।
২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেবাগের ১৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটির কথা নিশ্চয়-ই মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। পুরো আসরে ৪৩.৬৬ গড়ে তিনি করেছিলেন ৩৮০ রান। হয়েছিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের গর্বিত সদস্য। একই বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির এলিট ক্লাবেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে উঠে এসেছে গুরুতর অভিযোগ। যেখানে তিনি ইঙ্গিত করেন, ধোনির কারণে ২০০৮ সালেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
এফটি/টিকে