হবিগঞ্জের মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার তাদের মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তারা হচ্ছেন কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ছাত্রদল নেতা মো. জামিউল চৌধুরী (৩০) ও বাঘাসুরা গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে মোনায়েম মিয়া (২৫)।
শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ৯০ হাজার টাকা ও দুটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মনিব চৌধুরীর ছেলে অরুপ চৌধুরীকে (৩০) ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কান্ত নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অরুপের বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় দীর্ঘদিনের পুরোনো ডাকাতির মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে মাধবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কোনো মামলার বাদী কি-না তা আমার জানা নেই।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সহিদ উল্যাহ জানান, ছাত্রদল নেতাসহ ২ জনকে সেনাবাহিনী শুক্রবার মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মনিব চৌধুরীর ছেলে অরুপ চৌধুরী তার স্ত্রী রাহেলা বেগমকে নিয়ে মাধবপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় জামিলের নেতৃত্বে ৫ যুবক গাজীপুর জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে মোটরসাইকেলটি আটকে মামলার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে ৫ যুবক তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তারা বাধ্য হয়ে জামিল চৌধুরীর বিকাশে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মুক্ত হয়। ঘটনাটি তারা মাধবপুর শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। পরে সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জামিল চৌধুরী ও তার বন্ধু মোনায়েমকে আটক করে।
পুলিশ আরও জানায়, মামলার বাদী অরুপ চৌধুরী ও তার স্ত্রীর নামে ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অরুপ চৌধুরীর নামে ডাকাতি মামলা ২টি, মাদক মামলা ২টি ও ১টি মারামারির মামলা আছে। তার স্ত্রী রাহেলা বেগমের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
ইউটি/টিএ