রাশিয়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
রোববার (১৭ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, এটি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। পুতিনের এ সিদ্ধান্ত মোড় বদলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়েছেন পুতিন। একে আমি মোড় বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করব।’
উইটকফ বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলো অনুচ্ছেদ–৫–এর মতো ভাষা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।’
অনুচ্ছেদ–৫ বলতে উইটকফ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিধানের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা বুঝিয়েছেন।এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্যদেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। অনেক আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন।
তবে এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাশিয়ার।
এদিকে কিয়েভ শান্তি চুক্তির মার্কিন আহ্বান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেন, সংঘাত মীমাংসায় রাশিয়া একাধিক দাবি তুলেছে। সেগুলো একে একে খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে। তাই প্রথম শর্ত হলো যুদ্ধবিরতি, তারপরই টেকসই শান্তি চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি সম্ভব।
তার মতে, অস্ত্রের হুমকির মুখে আলোচনার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি তৈরি হয় না। এদিকে, রাশিয়া বলছে, যুদ্ধবিরতি মেনে নিলে ইউক্রেন তা ব্যবহার করবে নতুন করে অস্ত্র জোগাড়ের জন্য।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার লিয়েন ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা জানান। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদনের দিকে জোর দেন উরসুলা।
এমআর/টিকে