মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়।
রয়টার্স জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সমালোচকরা উপহাস করেছেন।
এমআরটিভি তে প্রকাশিত এক ঘোষণা অনুসারে, মিয়ানমারের ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনের তারিখ যা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে, তা পরে ঘোষণা করা হবে।
২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত শুরু হয়। সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জেনারেলরা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে নয়টি দেশব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে।
ছয়টি দল অনুমোদন এবং নিবন্ধনের জন্য পর্যালোচনাধীন রয়েছে। দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার সংবাদপত্র এই মাসের শুরুতে রিপোর্ট করেছে।
কিন্তু জান্তা-বিরোধী দলগুলোকে হয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয়া হয়েছে অথবা অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে, তাই পশ্চিমা সরকার জেনারেলদের ক্ষমতা জোরদার করার পদক্ষেপ হিসেবে এই নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়েছে এবং এতে সামরিক বাহিনীর প্রক্সিদের আধিপত্য থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্রের মতে, নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন দেশব্যাপী ৩০০ টিরও বেশি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে বর্তমানে সামরিক বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দখলে থাকা এলাকাগুলোও রয়েছে।
গত বছর, সামরিক-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ ভোটার তালিকা তৈরির প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী একটি আদমশুমারি পরিচালনা করেছিল। কিন্তু মিয়ানমারের ৩৩০টি শহরের মধ্যে মাত্র ১৪৫ টিতেই স্থল জরিপ পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের অভ্যুত্থানকে একটি প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ হিসেবে ন্যায্যতা দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর তিন মাস আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির বর্তমানে বিলুপ্ত ক্ষমতাসীন দল ব্যাপকভাবে জয়লাভ করার পর তাতে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সামরিক বাহিনী।
তবে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ করা জালিয়াতির কোনো প্রমাণ পাননি, যা ফলাফল পরিবর্তন করতে পারত।
এমআর/টিকে