পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়ালো

পাকিস্তানে চলমান বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই (কেপি) ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫৬ জন। আরও বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য ৮০০ কোটি রুপি ত্রাণ তহবিল বরাদ্দ করেছে। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলার জন্য আলাদা করে আরও ৫০০ কোটি রুপি ঘোষণা করা হয়েছে। কেপি প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুনের জেলায় এখন পর্যন্ত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২০ জন আহত হয়েছেন।

মৃতের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে শাংলা জেলা। সেখানে ৩৬ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৯৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- যার মধ্যে ৫৫টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু বিদ্যালয়ও।

এর বাইরে, মানসেহরায় ২৪ জন, বাজওরে ২১ জন এবং সোয়াতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোয়াত জেলায় অবকাঠামোগত ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে- অন্তত ২১৯টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং ১৬৩টি গবাদিপশু মারা গেছে।

পাকিস্তান জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান হাইদার জানিয়েছেন, আগস্টের শেষ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টির ঝুঁকি অব্যাহত থাকবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরও অন্তত দু-তিন দফা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। তাদের খুঁজে না পাওয়া গেলে মৃতের সরকারি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বর্তমানে বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২৫টিরও বেশি ত্রাণ শিবির চালু আছে। এসব ক্যাম্পে খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে স্কুলসহ সরকারি ভবনে রাখা হচ্ছে।

এনডিএমএ চেয়ারম্যান জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন ঘাঁটিগুলোও জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রথমবার সৃজিতের পরিচালনায় সোহিনী সরকারের পরিবর্তে মিমি চক্রবর্তী Nov 28, 2025
img
আমি কোনো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যাই না, তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি : ইয়ামি গৌতম Nov 28, 2025
img
প্রতিহিংসার নয়, গণমানুষের কল্যাণের রাজনীতি করে জামায়াত : হেলাল উদ্দিন Nov 28, 2025
img
মৎস্য ও প্রাণি সম্পদেও ভর্তুকি দরকার: ফরিদা আখতার Nov 28, 2025
img
প্রতিজ্ঞা পূরণ করতেই আকস্মিক বিদায় অশ্বিনের Nov 28, 2025
img
টাইম ম্যাগাজিনে আমির হামজার ছবি, ফারুকীর অভিনন্দন Nov 28, 2025
img
ভিন্নমত দমনের মানসিকতা দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন: গোলাম পরওয়ার Nov 28, 2025
বন্যা-ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহত ৪৪, ডুবছে মালয়েশিয়াও Nov 28, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন পুতিন Nov 28, 2025
img
নারীদের না বুঝে বিপাকে অঙ্কুশ, আসছে নতুন হাসির গল্প Nov 28, 2025
img
বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবি হেফাজতের Nov 28, 2025
img
দুজনের সমান চেষ্টায় সম্পর্ক টিকে থাকে: সোমরাজ Nov 28, 2025
img
হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৮ Nov 28, 2025
img
টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু Nov 28, 2025
img
সৌদি আরবে শেখ হাসিনাকে মিথ্যাবাদী বলে : এ্যানি Nov 28, 2025
img
আমাকে হারাতে জেলা বিএনপির বাজেট ১০০ কোটি টাকা : আলতাফ হোসেন চৌধুরী Nov 28, 2025
img
মহাখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন Nov 28, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হলো আরো ৩৯ বাংলাদেশিকে Nov 28, 2025
img
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় : মির্জা ফখরুল Nov 28, 2025
img
কামাল দিয়ে শুরু হবে এবং তারপর... : শফিকুল আলম Nov 28, 2025