এবার উড্ডয়নের পরপরই বোয়িং বিমানের ইঞ্জিনে আগুন

গ্রিসের করফু থেকে শনিবার রাতে উড্ডয়নের পরপরই একটি বোয়িং ৭৫৭-৩০০ বিমানে থাকা প্রায় ৩০০ আরোহী এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। জার্মান স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থা কনডর পরিচালিত এ বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন ধরে যায় বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ২৭৩ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু ছিলেন। দুশেলডরফগামী এ ফ্লাইটটি এক ঘণ্টার মধ্যে ইতালির ব্রিন্দিসি শহরে জরুরি অবতরণ করে।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ডান পাশের ফিউজলাজ থেকে আতশবাজির মতো ঝলক বের হচ্ছে, যা পুরো ১৫ সেকেন্ড ধরে চলতে থাকে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় বিমানটি সম্ভবত এক ঝাঁক পাখির মধ্য দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। বিমানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম এফএল৩৬০এয়ারো জানায়, সন্দেহ করা হচ্ছে, পাখির আঘাতের কারণেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

এনডিটিভি ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ফ্লাইট ডিই৩৬৬৫ স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টা ১৯ মিনিটে করফুর ইওয়ানিস কাপোডিস্ট্রিয়াস বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করার ৪৩ মিনিট পরই ব্রিন্দিসির কাসালে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইঞ্জিনে আগুন ধরার পর পাইলট প্রথমে করফুতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। পরে এক ইঞ্জিন চালু রেখে ব্রিন্দিসিতে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন।

কনডর যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। ব্রিন্দিসি শহরে পর্যাপ্ত হোটেল না থাকায় যাত্রীদের রাতটি বিমানবন্দরে কাটাতে হয়। পরের দিন তাদের দুশেলডরফে পাঠানো হয়।
বোয়িং ৭৫৭ মডেলটিকে প্রায় পাঁচ দশক ধরে ব্যবহৃত প্রাচীন যাত্রীবাহী বিমানগুলোর একটি বলা হয়, যার ডাকনাম ‘আতারি ফেরারি’। তবে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়।

এর আগেও একাধিকবার উড়ন্ত অবস্থায় বোয়িং বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারলাইনসের একটি লস অ্যাঞ্জেলেস-আটলান্টা ফ্লাইটে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া চলতি বছরের ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ২৭২ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই নিহত হন। মাটিতেও প্রাণ হারান আরো ১৯ জন। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নবাগতদের জন্য অক্ষয়ের সতর্কবার্তা Oct 14, 2025
img
চাঁদপুরের নৌপুলিশের অভিযানে ৪৫ জেলে আটক Oct 14, 2025
img
জিন নয়, জীবনযাপনেই বাড়ছে অকালপক্বতার ঝুঁকি Oct 14, 2025
img
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারী ৩ নেতার সই Oct 14, 2025
img
জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাচ্ছে আজ Oct 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টা ও রোমের মেয়রের সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন জুলকারনাইন সায়েরের Oct 14, 2025
img
যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করলেন বাইডেন Oct 14, 2025
img
দেশের প্রয়োজনে ইলেক্ট্রোরাল অ্যালায়েন্সের দিকে যেতে পারে এনসিপি: সারজিস Oct 14, 2025
img
ক্যাচ ছেড়ে মাশুল গুনতে হলো বাংলাদেশের, হেরেও গর্বিত অধিনায়ক Oct 14, 2025
img
মুক্তি পাওয়া ১৫৪ জন ফিলিস্তিনিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল Oct 14, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পরীক্ষা স্থগিত Oct 14, 2025
img
আমার জীবনে সালমান একজন গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল: এলি আভরাম Oct 14, 2025
img
বেরোবিতে সহিংসতায় জড়িত ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার Oct 14, 2025
img
পাকিস্তান এবং ভারত খুব শান্তিতে একসঙ্গে থাকবে : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
নতুন হোয়াটসঅ্যাপ ফিচারে যোগ হবে ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক Oct 14, 2025
img
ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট Oct 14, 2025
img

রাকসু নির্বাচন

শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সভার ২শ প্যাকেট খাবার ফেরত পাঠালো নির্বাচন কমিশন Oct 14, 2025
img

বাংলাদেশ-পাকিস্তান জেইসি বৈঠক ২৭ অক্টোবর

পাকিস্তান যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, আসছেন অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী Oct 14, 2025
img
দক্ষিণ এশিয়ায় গুগলের ডেটা সেন্টার নির্মাণে বড় বিনিয়োগ Oct 14, 2025
img
আবহাওয়ার পরিবর্তনে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন লবঙ্গ চায়ের Oct 14, 2025