রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে চাইলেও তা নিয়ে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়েছে ইউক্রেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন গোপনে এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করতে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের সম্ভাব্য কৌশল কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ক্রমশ হতাশা প্রকাশ করছেন এবং শান্তিচুক্তি আনতে ব্যর্থ হওয়ায় বিরক্তি দেখাচ্ছেন, তখন এই খবর প্রকাশ্যে এল।
সম্প্রতি আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক এবং পরে ইউরোপীয় নেতাদের ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিংবা শুল্ক আরোপ করার কথা বিবেচনা করছেন। তবে বিকল্পভাবে, যুক্তরাষ্ট্র পুরো প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের কী করা উচিত সে ব্যাপারে আমি খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব। সেটা হতে পারে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপক শুল্ক, অথবা উভয়ই। আবার এটাও হতে পারে যে আমরা কিছুই করব না, বলব এটা তোমাদের যুদ্ধ।”
ট্রাম্প আশা করেছিলেন, তিনি পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করতে পারবেন। কিন্তু সেটিও কঠিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কোনও এজেন্ডা এখনও তৈরি হয়নি, তাই শিগগিরই এমন বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, হোয়াইট হাউস যেখানে পুতিনকে শান্তি আলোচনায় রাজি করানোর চেষ্টা করছে, সেখানে পেন্টাগনের অনুমোদন প্রক্রিয়া ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে এই মিসাইল ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের হাতে রয়েছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। পাশাপাশি হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ইএ/টিকে