সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লা অঞ্চলের ২০টি আসনের মোট ৫১৩টি দাবি-আপত্তির শুনানি সম্পন্ন হয়।
শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, এ দিন ইসির খসড়ার বিপক্ষে ২৩৮টি ও পক্ষে ২৭৫টি আবেদন নিয়ে শুনানি হয়। এর আগে প্রথম দিনে ২০টি আসনের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছিল।
আর মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার বিভিন্ন আসনের মোট ৩১৬টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। এরপর ২৭ আগস্ট রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরের ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি আবেদনের শুনানি করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসন নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তি জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে। সেসব আবেদন নিষ্পত্তির পরই চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি। এর আগে গত ৩০ জুলাই সংসদের ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে কমিশন। খসড়ায় ভোটার সমতা আনার জন্য গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বিপরীতে বাগেরহাটে আসন চার থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রকাশিত খসড়ায় মোট ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে– পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
বাগেরহাটে আগে চারটি আসন ছিল। এগুলো হলো— বাগেরহাট-১ (মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতলমারী), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা)। তবে খসড়ায় বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল নিয়ে নতুনভাবে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
সীমানা পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০। এই গড় ধরে হিসাব করলে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো যৌক্তিক হয়েছে। বিপরীতে বাগেরহাটে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় একটি আসন কমানো হয়েছে। এতে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই প্রভাবিত হয়েছে। আর কোথাও বড় ধরনের ঝামেলা নেই। শুধু ৩৯টি আসনে সমন্বয় করা হয়েছে।
শুনানি শেষে ইসি জানিয়েছে, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে শিগগিরই চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করা হবে।
এফপি/ টিএ