রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় এ সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনব্যাপী ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনে অংশ নিতে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছায়।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দালজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে প্রতিনিধি দলটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে অভ্যর্থনা জানান।
বিজিবি থেকে জানানো হয়েছে যে, নিজ নিজ দেশের সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি সীমান্ত-সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এ বছরের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, পুশইন এবং অনুপ্রবেশ রোধ, ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্রের চোরাচালান রোধের ব্যাপারে আলোচনা হবে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ রোধ, সীমান্তবর্তী নদীর তীর সংরক্ষণ, সীমান্তবর্তী নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ও এবারের ডিজি পর্যায়ের সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার কারণে সীমান্তে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা প্রশমনের উদ্যোগও নেওয়া হবে। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং দু’দেশের সীমান্ত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামী ২৮ আগস্ট চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে।
ইএ/টিকে