এনসিপির ইলেকশন ভীতি তৈরি হয়েছে : জাহেদ উর রহমান

এনসিপির ইলেকশন ভীতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, ‘এনসিপি বিরাট লঞ্চিং করেছে। এনসিপি হওয়ার আগে তাদের দুটো সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এক্সপেন্সিভ অফিশিয়াল স্পেসে অফিস করেছেন।’

‘তারা যখন বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ করতে গেছেন সেখানেও প্রচুর লোকজন জড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।

আমরা বিরাট দল এবং প্রায় তারা বলেন যে জনগণ সংস্কার চায়, জনগণ গণপরিষদ চায়। সুতরাং, আপনি যখন বলছেন জনগণ আপনার সঙ্গে আছে। ভোটের পর যদি আমরা দেখি যে তারা ভালো করছেন না। তখন ভবিষ্যৎ রাজনীতি বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

তিনি বলেন, ‘এসব কারণেই তাদের এক ধরনের ইলেকশন ভীতি তৈরি হয়েছে। এটার কারণেই দুটো দল ইসলামী আন্দোলন এবং এনসিপি তো কাগজে কলমে বিএনপির সঙ্গে ইভেন জোটেও চলে যাওয়া সম্ভব। জামায়াতকে সম্ভবত বিএনপি জোটে নেবে না। জামায়াতের আসলে আর বিএনপির প্রয়োজন নাই।

যখন আওয়ামী লীগ ছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়, তখন জামায়াতের বেশ কিছু ভোট আছে এটা কাজে লাগে। এবার আর দরকার নাই।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে বিএনপি বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আর বিএনপি ছাড়া এখন অন্য যারা আছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি। জামায়াতে ইসলামীরা নির্বাচনী রাজনীতি করেছে।

তারা এককভাবে নির্বাচন করেছে। তাদের একটা শক্তি আছে এখন পর্যন্ত। ইসলামী আন্দোলন শেখ হাসিনার সময় হলেও তারা লোকাল অনেকগুলো গভর্নমেন্ট ইলেকশনে পার্টিসিপেট করেছে এবং তাদেরও কিছু ভোটের প্রমাণ আছে। এনসিপি না থাকলে এনসিপিতে যেহেতু আমাদের কিছু অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ আছে। সো এই তিনটা শক্তি এখন নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছে।’

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফুলকোর্টে শুনানি আজ Sep 03, 2025
img
মালয়েশিয়ায় ৪০০ বাংলাদেশিসহ আটক ৭৭০ অভিবাসী Sep 03, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা Sep 03, 2025
img
আজ বেলা ১১টা থেকে শুরু সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ Sep 03, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই প্রাণ গেল অন্তত ১০৫ ফিলিস্তিনির Sep 03, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ৬৬তম Sep 03, 2025
img
নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Sep 03, 2025
img
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের পরই ফ্রান্সের দায়িত্ব ছাড়তে চান দেশম Sep 03, 2025
img
মেসি যতদিন আছে, আসুন আমরা উপভোগ করি: স্ক্যালোনি Sep 03, 2025
img
লিভারপুলের হয়ে ইতিহাস গড়তে চান সুইডিশ ফরোয়ার্ড ইসাক Sep 03, 2025
img
নিজের মৃত্যুর খবর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের Sep 03, 2025
img
ফেরার দেশে প্রখ্যাত অভিনেতা আনোয়ার আলী Sep 03, 2025
img

বিএনপি নেতা বুলু

জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ Sep 03, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না : ডা. শাহাদাত Sep 03, 2025
img
ইতালিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি Sep 03, 2025
img
ফেনীতে 'সংঘাত’ এড়াতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত Sep 03, 2025
img
আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায় Sep 03, 2025
img
আফগানিস্তানে ফের ভূমিকম্প, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা Sep 03, 2025
img
কংগ্রেসে ইসরায়েলের সমর্থন কমছে : ট্রাম্প Sep 03, 2025
img
শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানদের জয় Sep 03, 2025