ফ্লু থেকে দ্রুত সেরে উঠুন

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করেই তীব্র জ্বর ওঠে, যা তিন থেকে চার দিন থাকে। রোগীর সারা গায়ে ও মাথায় সুতীব্র ব্যথা থাকতে পারে। ফ্লু’র আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচণ্ড ক্লান্ত বোধ করেন এবং তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

আপনি যদি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দ্রুত সিদ্ধান্ত আর কিছু পদক্ষেপ আপনাকে তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সহায়তা করবে। যদিও সেই অর্থে ফ্লু’য়ের কোনো প্রতিষেধক হয় না, কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে এর উপসর্গগুলো উপশম করার পাশাপাশি দ্রুত সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।

অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ
ভাইরাস ইনফেকশন বা ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ডাক্তারকে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দিতে বলুন। উপসর্গ দেখা দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ওষুধ সব থেকে বেশি কার্যকর। কারণ ভাইরাস দেহের সুস্থ কোষগুলোতে ক্রমাগত ছড়িয়ে যেতে থাকে। অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে সহায়ক এনজাইমকে রুদ্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে আপনার দেহে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে।

বেশি বেশি ঘুমাতে চেষ্টা করুন
গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অধিক কর্মক্ষম করে তোলে, শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পান করুন
ফ্লু আক্রান্ত অবস্থায় অবশ্যই প্রচুর পানীয় পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করার বাইরেও আপনি ফলের রস, স্পোর্টস ড্রিংকস ও সুপ পান করতে পারেন।

ফ্লু আক্রান্ত অবস্থায় দেহ দ্রুত আদ্রতা হারাতে থাকে, তাই নিজেকে আদ্র রাখার প্রতি যত্নশীল থাকুন। তাছাড়া আপনাকে অবশ্যই শ্বাসনালী আদ্র রাখতে হবে, যাতে করে ফুসফুসে জমে ওঠা মিউকাস গলে কফ হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।

খাবারের প্রতি যত্নশীল থাকুন
এই অবস্থায় আপনাকে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ বড়িয়ে দিতে হবে। গাজর-মিষ্টি আলুর মতো বেটা-ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়াও আপনাকে রসুন, আদা, দই, ব্রুকলি প্রভৃতি খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।

বাড়িতে থাকুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
প্রথম দিন ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দিলে অফিস কিংবা স্কুলে জানিয়ে দিন যে আপনি কয়েকদিন যেতে পারবেন না। আপনি অসুস্থ, এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামের প্রয়োজন। কারণ, বিশ্রামে থাকা অবস্থায় আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াইয়ে সক্ষম। এটি একইসঙ্গে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিও কমায়। তথ্যসূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ