জাতীয় পার্টিকে শিগগিরই নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি বলেছেন, আজকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত ও এনসিপি সরাসরি দাবি জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হোক। আমার ধারণা, এই দাবি বাস্তবায়ন হবে এবং খুব শিগগিরই হবে। আবার না-ও হতে পারে, কিন্তু আমি যা বুঝেছি, তাতে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি বলছে, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হবে।
এর পেছনে আরেকটি কারণ আছে নির্বাচনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
রবিবার (৩১ আগস্ট) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মাসুদ কামাল এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, যদি এখন নির্বাচন হয় তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি, এনসিপি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন এবং আরো কিছু বামপন্থী দল যেমন সিপিবি। তবে এনসিপি ও জামায়াতের তিনটি মূল দাবি রয়েছে সংস্কার, সংবিধান সংশোধন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।
তারা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিল, যদি এই দাবিগুলো না মানা হয় তাহলে তারা নির্বাচন বয়কট করবে।
জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি নির্বাচন বয়কট করলে তাতে তেমন কিছু আসে-যায় না। কারণ তারা এখনো বড় দল নয়। কিন্তু যদি জামায়াত বয়কট করে তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
কারণ, আওয়ামী লীগ তো এখন নির্বাচনের বাইরে। তাহলে বিএনপি একা নির্বাচনে গেলে সেটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। না দেশের, না আন্তর্জাতিক মহলের কাছে। তখন জাতীয় পার্টির উপস্থিতি নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন, যদি জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয় বা নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে নির্বাচনের ভার চলে যাবে জামায়াতের হাতে।
তখন জামায়াত যদি বলে, “নির্বাচন ছয় মাস পিছিয়ে না দিলে আমরা যাব না” তাহলে কেউ কিছু বলতেও পারবে না। এ কারণেই জামায়াত এবং এনসিপি এখন জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবিটা জোরেশোরে তুলছে।
মাসুদ কামাল আরো বলেন, আমি আগে থেকেই বলে আসছি, নির্বাচন আসলে ফেব্রুয়ারিতে হবে নাকি আরো পরে সেটা নির্ভর করছে এইসব কিছুর ওপর। প্রধান উপদেষ্টা বার বার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, যদি জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা যায় তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না।
এমকে/টিকে