বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ এখনো পুরোপুরি অজানা : উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। এজন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্ত:মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরও গভীরভাবে কাজ করতে। কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্যসম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনোভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না।

তিনি আর বলেন, মাছের চরিত্র বোঝে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কেননা সব মাছের স্বভাব-চরিত্র, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক না। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তা অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি পরিবেশ দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।

এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পারিবারিক ছবিতে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন রুনা খান Nov 24, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ বিদায়ে শ্মশানে অমিতাভ থেকে শাহরুখ Nov 24, 2025
img
শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র Nov 24, 2025
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ভারত Nov 24, 2025
শান্তি আলোচনায় নতুন মোড়: ইউক্রেনের উদ্বেগ বাড়ছে Nov 24, 2025
গণমাধ্যমে প্রকৃত খবরের জন্য যুদ্ধ করতে হয়: তালাত মামুন Nov 24, 2025
গণমাধ্যমের কমিশন তৈরি হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়নি: মির্জা ফখরুল Nov 24, 2025
বাংলাদেশের মিডিয়াকে শিল্পগোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হতে দেয়া ঠিক না : নুরুল হক নুর Nov 24, 2025
img
বলিউডের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ যদি ‘শচীন’ হন, তবে তিনি হলেন ‘দ্রাবিড়’ Nov 24, 2025
img
ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ হারাল ২, হাসপাতালে ৭০৫ Nov 24, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় হুমার কড়া বার্তা Nov 24, 2025
img
দেশের মালিক জনগণ, সরকার নয় : সুলতানা কামাল Nov 24, 2025
img
চট্টগ্রাম জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে ধিক্কার জানাই: ইশরাক হোসেন Nov 24, 2025
img
মুকুট না পেলেও দেশের মন জিতলেন মিথিলা, ফেরার পর শুরু নতুন অধ্যায় Nov 24, 2025
img
জিজ্ঞাসাবাদে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়েছে, অভিযোগ শহীদুল হকের আইনজীবীর Nov 24, 2025
img
তিলককে চার নম্বরে খেলাতে চাইছেন ইরফান পাঠান Nov 24, 2025
img
রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার Nov 24, 2025
img
প্রথমবারের মতো দলীয় সভায় বক্তব্য রাখলেন জাইমা রহমান Nov 24, 2025
img
ব্রুনাইয়ের জালে বাংলাদেশের ৮ গোল Nov 24, 2025
img
ভূমিকম্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞদের ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা : রিজওয়ানা Nov 24, 2025