পুরনো চামড়ায় আড়ত ভরা, নতুন চামড়ার দাম নেই

গত বছরের কেনা চামড়া এখনো পড়ে আছে ট্যানারিতে। বছর ধরেও বিক্রি করা যায়নি। আড়ত থেকে চামড়া বিক্রি না হওয়ায মাঠ পর্যায়ে চামড়ার ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। তাই নামমাত্র মূল্যে চলছে চামড়ার বেচাকেনা।

এছাড়া করোনার প্রভাবে অর্থ সংকট তো আছেই। এসব নানা কারণ মাথায় রেখেই এবার চামড়া ক্রয়ের ব্যাপারে সতর্ক আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। গত বছরের যে চামড়ার দাম ছিল ৩০০ টাকা, সেই চামড়ার দাম এবার ১০০ টাকা। মফস্বল শহর ও গ্রাম এলাকায় চামড়ার দাম নেই বললেই চলে।

জানা গেছে, এবছর প্রতিটি গরুর চামড়া ১০০ থেকে ৪০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১০ টাকায় কেনা হয়েছে। তবে বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

এবার চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের তেমন দেখা যায়নি। করোনার প্রাদুর্ভাব ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে পারেনি।

বগুড়ায় শনিবার বড় বড় ব্যবসায়ীরা দোকান বা রাস্তার পাশে বসে দিনভর চামড়া কিনেছেন। মূল্য কম হওয়ায় অনেক কোরবানিদাতা চামড়া বিক্রি না করে মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান করেছেন।

অনেকেই মনে করছেন, চামড়ার বাজারে ধস নামায় দুস্থরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বগুড়া শহরের বাদুড়তলার চামড়া ব্যবসায়ী সবুর জানান, তিনি ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে গরুর চামড়া ও ১০ থেকে ১৫ টাকায় ছাগলের চামড়া কিনেছেন।

ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতিটি গরুর চামড়া ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছি। গত বছরের চেয়ে এবার চামড়ার বাজার মন্দা। সব চামড়ার মাঝারি ব্যবসায়ীরা বাজার ধসের জন্য ঢাকার ট্যানারি মালিকরা দায়ী।

অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, ঢাকার ট্যানারিগুলোতে তাদের অনেক পাওনা বকেয়া রয়েছে। গত বছরের ১০ লাখ টাকা পাওনা থাকলেও চামড়া কেনার স্বার্থে ২-৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এবারও অধিকাংশ চামড়া বাকিতে দিতে হবে। এ কারণে তারাও বাধ্য হয়ে কম দামে চামড়া কিনেছেন।

এদিকে চামড়ার বাজার ধস ও মূল্য কম হওয়ায় আলেম সমাজ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ চামড়ার বাজার দর না থাকায় এতিমখানা মাদ্রাসাগুলো আর্থিক সংকটে ভুগবে।

 

টাইমস/এসএন

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক Oct 23, 2025
img
কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে : আসিফ নজরুল Oct 23, 2025
img
অর্থের পেছনে না ছুটে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির Oct 23, 2025
img
‘মাই ম্যান’ এর পলিটিক্স করবে না এনসিপি: সারজিস Oct 23, 2025
img
আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Oct 23, 2025
img
জোটের প্রার্থী হলেও লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে Oct 23, 2025
img
ব্যাটিং বিপর্যয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ Oct 23, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, সেটি ঠেকানোর মতো শক্তি পৃথিবীতে নেই: অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার Oct 23, 2025
img
সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা সরকারের Oct 23, 2025
img
উত্থান-পতনের মধ্যেও আশাবাদী শিল্পা শেট্টি! Oct 23, 2025
img
উটে চড়তে থাকুন, সৌদি নেতাদের কটাক্ষ করে বললেন বাজায়েল স্মোরিচ Oct 23, 2025
img
শেখ হাসিনার উসকানিতে পা দেয়নি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী : চিফ প্রসিকিউটর Oct 23, 2025
img
৩১ শতাংশ গুমের শিকার শিবিরের কর্মী : সাদ্দাম Oct 23, 2025
img
নেশা পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তামাকবিরোধী জোটের Oct 23, 2025
img
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা, ফিরলেন লিটন Oct 23, 2025
img
রাশিয়ায় কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০ Oct 23, 2025
img
দেশ গড়তে শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী Oct 23, 2025
img
ঢাকা ওয়াসার ওয়াটার এটিএম বুথের সার্বিক কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন Oct 23, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল-পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহী চীন Oct 23, 2025
img
গণতন্ত্রে ফেরার যাত্রায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য শুভ কামনা: জার্মান রাষ্ট্রদূত Oct 23, 2025