নাসার টয়লেট ডিজাইন করে জিতে নিতে পারেন ৩০ লাখ টাকা!

আশ্চর্যজনক মনে হলেও সত্যি টয়লেট ডিজাইন করে জিতে নিতে পারবেন ৩৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই অভিনব সুযোগটি দিচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার একটি টয়লেট ডিজাইন করেই ঘুরিয়ে দিতে পারেন আপনার ভাগ্যের চাকা।

নাসা সম্প্রতি আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচী হাতে নিয়েছে, এই কর্মসূচীটি ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনি চাঁদেই যান কিংবা মঙ্গলে যান আপনাকে কিন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেই হবে, আর তাই এই মহাকাশচারীদের জন্যেও বিশেষ টয়লেট ডিজাইন করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে মহাশূন্যে মাধ্যাকর্ষণ বল খুবই কম বা একেবারেই শূন্য, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ। তাই টয়লেট ডিজাইনের সময় মাধ্যাকর্ষণ প্রভাবের কথা মাথায় রাখা জরুরি। নাসা এবং হিরোএক্স এর নির্দেশনা মেনে যে কেউ এই টয়লেট ডিজাইনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

  • মিশনে চাঁদে যাতায়াতকারী প্রথম নারী নভোচারী অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, তাই টয়লেটগুলি পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হতে হবে।
  • টয়লেটের নকশায় জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত, ল্যান্ডারের অভ্যন্তরের পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হতে হবে এবং গন্ধ ও অন্যান্য দূষণ মুক্ত হতে হবে।
  • ক্রু বা সদস্যরা যাতে টয়লেটে তাদের মাথা না ঢুকিয়ে বমি করতে পারে এমন ডিজাইনকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
  • টয়লেটটি পরিষ্কার করা সহজ হতে হবে, এর জন্য বাথরুমে সাধারণভাবে ব্যবহৃত ফ্যানের চেয়ে ৭০ ওয়াট শক্তি কম ব্যবহার করতে হবে এবং শব্দও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
  • টয়লেটটির ওজন পৃথিবীতে ৩৩ পাউন্ডের চেয়ে কম হতে হবে এবং আয়তনের ১২ ঘনমিটারের চেয়ে কম হওয়া উচিত।
  • একসাথে প্রস্রাব এবং মলত্যাগ করার সুবিধা থাকতে হবে।
  • প্রতিদিন ক্রু হিসাবে গড়ে ৬ বার ব্যবহার করা হতে পারে, প্রতিবার ১ প্রতি লিটার পর্যন্ত প্রস্রাব সংরক্ষণের সুবিধা থাকতে হবে।
  • টয়লেট পেপার, ওয়াইপস ও গ্লাভসের মতো টয়লেট হাইজিন পণ্যগুলির ব্যবহারের সমন্বয় সাধন করতে হবে।
  • ব্যবহারের মধ্যে ৫ মিনিটের টার্ন-অ্যারাউন্ড সময় বা এর কমসহ সহজে পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা থাকতে হবে।

বিস্তারিত জানতে নির্দেশনা পড়ুন-https://www.herox.com/LunarLoo/guidelines তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সেন্ট মার্টিনে পরিবেশ রক্ষায় অভিযান, অপসারিত ১৮৫০ কেজি বর্জ্য Dec 07, 2025
img
অবশেষে ফুরোচ্ছে তানজিকা আমিনের দীর্ঘ অপেক্ষা Dec 07, 2025
img
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন Dec 07, 2025
হাসিনাকে নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান ভারতের সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে: জয়শঙ্কর Dec 07, 2025
ভিভিআইপি ফ্লাইট CL-604 পেলো ঢাকায় নামার অনুমতি Dec 07, 2025
ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধ্বসে ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে প্রানহানি প্রায় ১৮০০ Dec 07, 2025
পোষ্য কোটা ইস্যুতে যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা Dec 07, 2025
জাকসুর বাজেট বিতর্ক: বরাদ্দ আর প্রাপ্তিতে বড় ফারাক Dec 07, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Dec 07, 2025
img
নির্বাচনের তফসিল নিয়ে সভা আজ Dec 07, 2025
ফেনীতে এনসিপি কমিটি ঘোষণায় বিরোধ Dec 07, 2025
যশরাজ স্টুডিওতে অঝোরে কাঁদছিলেন ক্যাটরিনা Dec 07, 2025
শাহরুখ খানের শো এড়ানোর নেপথ্য কারণ ফাঁস Dec 07, 2025
img
আজ আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া Dec 07, 2025
img
মেসির মায়ামির ঐতিহাসিক রাত, শিরোপা হাতে বিদায় বুস্কেটসের Dec 07, 2025
img
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকের প্রাণহানি Dec 07, 2025
img
লেবাননে জাতিসংঘ টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ Dec 07, 2025
img
খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খোকন Dec 07, 2025
img
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক Dec 07, 2025
img
তথাকথিত বড় দলগুলোর পক্ষে নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয় : মুরসালীন Dec 07, 2025