সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের আনা ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন মার্কিন নির্বাচনী সুরক্ষা কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী সুরক্ষা কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানান, ভোট জালিয়াতির প্রশ্নই আসে না। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এতোটাই সুরক্ষিত ছিল যা নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেন এই নির্বাচনে তার সমর্থনে পড়া ২৭ লাখ ভোট মুছে ফেলা হয়েছে। তবে সে দাবি নাকচ করে দিয়ে নির্বাচনী সুরক্ষা কমিটি জানায়, ট্রাম্পের এমন অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই যে, ভোট মুছে ফেলা, চুরি করা, এমনকি সমঝোতার মাধ্যমে ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে।
তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল এখনও মেনে নিতে পারেননি। কোন প্রমাণ ছাড়াই তিনি অব্যাহতভাবে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এনিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি মামলাও করেছেন।
বৃহস্পতিবার কমিটি অব দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। যা আপনাদেরও থাকা উচিত। যদিও আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু অমূলক দাবি এবং ভুল তথ্যের সুযোগের কথা জানতে পারি।
নির্বাচন নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা ব্যাখ্যার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে যাওয়ার অনুরোধ ও জানানো হয় বিবৃতে।
বৃহস্পতিবার সিসা’র প্রধান ক্রিস্টোফার ক্রেবস নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ‘রিটুইট’ না করার অনুরোধ জানান। তবে এমন অনুরোধের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন এর নির্দেশে সিসা’র সহযোগী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার পদত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, সিএনএন-এর থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, অ্যারিজোনায় রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। যেখানে ডেমোক্র্যাট এর বাইডেন পেয়েছেন ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৪টি পপুলার ভোট। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫০টি ভোট।
এ নিয়ে অঙ্গরাজ্যটির ১১টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জমা পড়েছে বাইডেনের পকেটে। এতে বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯০। বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৭তে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন বাইডেন। এই লক্ষ্যে নিজ নির্বাচনী অঙ্গরাজ্যে ডেলাওয়্যার থেকে প্রশাসন গোছানোর প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে এসেছেন তিনি।
টাইমস/আরএ