“আম্পান” এর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করলো সুন্দরবন

বরাবরের মতো এবারও উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ ও সম্পদ রক্ষা করতে বুক চিতিয়ে লড়াই করলো সুন্দরবন। ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সুন্দর বন। ভারত থেকে আম্পান যে গতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল তার প্রভাব সেভাবে পড়তে পারেনি বনের গাছপালায় এই ঝড় বাঁধা পাবার কারণে। ভারতের সুন্দরবনের অংশের চেয়ে বাংলাদেশ অংশে গাছ ঘন থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত কম গতি নিয়ে খুলনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে।

সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা জানান সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সুন্দরবনের যে ক্ষতি হয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, সুন্দরবনের ভেতরে এখনো বাতাস বইছে (বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা)। বনরক্ষক ও কর্মকর্তারা ঝড়ের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। তারা এখন গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হয়েছে তা বলবো না। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি ছিলও। এতে সুন্দরবনের ভেতরে থাকা মিষ্টি পানির পুকুরে লবণ পানি ঢুকেছে। এটাই বেশি ক্ষতি হয়েছে।

 

টাইমস/টিএইচ

Share this news on: