আকস্মিক বন্যায় নেত্রকোনায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

টানা ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলার ১২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৭০০ বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে। অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

জেলার প্রধান পাঁচটি নদীর মধ্যে সোমেশ্বরীর একটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এতে করে এসব পরিবারের লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।

বন্যা কবলিতরা জানান, এলাকার বেশিরভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়ির বারান্দা ও কারও কারও ঘরের ভিতরে পানি ঢুকেছে। রান্না করা দুরূহ হয়ে গেছে। বাড়ির গরু ছাগল রাখা ও খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা জানিয়েছেন, কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবারের বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ১৫ একর আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পুকুর তলিয়ে গেছে। ফলে পুকুরের মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎস্যচাষীরা।

তিনি আরও জানান, বন্যার পানিতে প্রায় ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মোর্শেদ জানান, উপজেলাটিতে ৬৫টি গ্রামের প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় প্রায় ১০ একর আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে নিম্নাঞ্চল এলাকার শতাধিক পুকুর তলিয়ে পুকুরের মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় মৎস্যচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আক্তারুজ্জামান জানান, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দায় তিন নাম্বার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এছাড়া জেলার অন্য প্রধান নদী উব্ধাখালি, কংস, ধনু, মগড়া নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নীচ দিয়ে বইছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: